উফ কী গরম!
HOT BIKINI
সোফিয়া আলেখিনা
৩৬৫ দিন। কম বয়সেই উচ্চতার শিখরে। এক একটা সিঁড়ি পার করে এখন তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ।তিনি সোফিয়া আলেখিনা। রাশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় মডেল। তাঁর খ্যাতি এখানেই শেষ নয়। গ্রিসের বড় মডেল এজেন্সির কভারের এই বছরের মুখ হবেন তিনি। এথেনা শহরের সব থেকে বড় মডেল কোম্পানি ‘এজেন্সিয়া’র ২০২৪ এর মুখ হবেন ভিকি আলেখিনা। তার জন্যই এখন এই শহরেই আছেন সোফিয়া। কাজের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও বেড়াচ্ছেন। ছোট থেকেই ক্যামেরার সামনে কাজ করার ইচ্ছে ছিল। তবে মাত্র ২১ বছরেই যে সেই স্বপ্ন সত্যি হবে ভাবতে পারেননি। তাঁর জন্ম মস্কো শহরে। সেখানেই বিস নামে একটি স্কুলে পড়াশোনা করেন। কলেজে যাওয়ার আগেই তাঁর কাছে মডেল হওয়ার অফার আসে। সেটিও অবশ্য একেবারে আকস্মিক। এজেন্সিয়ার এক ফটোগ্রাফার তাঁদের স্কুলে যান। একেবারেই নিজেস্ব কাজে। সেখানেই ভিকিকে দেখেন তিনি। তারপরেই প্রস্তাব। কারণ সেই সময় এই মডেল এজেন্সি নতুন মুখ খুঁজছিলেন।ফলে সোনায় সোহাগা। স্বপ্ন একেবারে হাতের কাছে এসে ধরা দেয়।তবে এই কথা অবশ্য নিজের বাড়িতে জানালে কেউ তাঁকে এই পদক্ষেপে সায় দেয়নি। তবে পরে অবশ্য মেয়ের সিদ্ধান্তই মেনে নেন তাঁর বাবা মা। এখন তিনি অবশ্য পুরোদস্তুর ব্যস্ত। পড়াশোনা এবং মডেলিং কেরিয়ার ব্যালেন্স করে সামলাচ্ছেন সোফিয়া।
HOT SPOT
গ্রিস, এথেন্স
কংক্রিটের শহরের মধ্যেও লুকিয়ে আছে টুকরো টুকরো সব অমূল্য রত্ন, যার আভাস পাবেন অ্যাক্রোপলিস, অ্যানাফিও টিকা, প্লাকা বা থিসিও অঞ্চলে। এখানে নিওক্লাসিকাল স্থাপত্যের ছড়াছড়ি।
৩৬৫ দিন। বৈচিত্রের দিক থেকে গ্রিসকে ১০০য় ২০০ নম্বর দেওয়া যেতেই পারে। চার সহস্রাব্দেরও বেশি ঐতিহাসিক ঐতিহ্য, উপকথা জড়িয়ে আছে গ্রিসের সঙ্গে। আর প্রকৃতি যেন বহু আদরে সাজিয়েছেন এই দেশকে। একদিকে সফেন সমুদ্রতট, অন্যদিকে পাহাড়ি উপত্যকা। আর দ্বীপপুঞ্জ তো আছেই। সাংস্কৃতিক আবেশে মোড়া গ্রিসকে কোনও রূপকথার রাজ্য বললে ভুল হবে না। এয়ারপোর্ট থেকে সিটি সেন্টারের দূরত্ব খুব বেশি নয়। গাড়ি বা লোকাল ক্যাব তো আছেই, তবে এথেন্সের মেট্রো সিস্টেম বেশ উন্নতমানের। সপ্তাহে সাতদিনই চলে, তবে ৩০ মিনিট পর পর আসে। সিটি সেন্টার পৌঁছতে কমবেশি ৪০ মিনিট নেয়।
কংক্রিটের শহরের মধ্যেও লুকিয়ে আছে টুকরো টুকরো সব অমূল্য রত্ন, যার আভাস পাবেন অ্যাক্রোপলিস, অ্যানাফিওটিকা, প্লাকা বা থিসিও অঞ্চলে। এখানে নিওক্লাসিকাল স্থাপত্যের ছড়াছড়ি। সরু সরু রাস্তার ধারে সাজানো নানারকমের ট্রেন্ডি আবার ট্র্যাডিশনাল ক্যাফে। দোকানে দোকানীরা হাজাররকমের পসরা সাজিয়ে বসেছে। আর চোখ মেলে তাকালেই দেখতে পাবেন অ্যাক্রপলিস, যাকে নিয়ে এত প্রাচীন কাহিনি, গল্প মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক অ্যাক্রোপলিস, এথেন্স তথা গ্রিসের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
HOT FOOD
পর্ক সৌভলাকি
৩৬৫ দিন। গ্রিক কুজিনের মধ্যে একদম প্রথম দিকের খাবার এই পর্ক সৌভলাকি।যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গ্রিসের ডেলফি শহরে সৌভলাকি গায়রস পিটা রেস্তোরাঁতেই এই পদ প্রথম তৈরি করা হয়। তারপর সেখান থেকেই গ্রীসের অন্যান্য রেস্টুরেন্ট এই খাবার বানাতে শুরু করে।আর সৌভলাকি কথাটি এসেছে গ্রিক শব্দ সৌভলা থেকে। যার অর্থ মেটাল স্কিউয়ার।তবে এই পর্ক সৌভলাকি বানানো কিন্তু অতি সহজ ব্যাপার ।
বাড়িতেও বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। প্রথমে অবশ্য পর্ক’র গলার দিকের মাংস নিতে হবে।সেটিকে বক্স আকারে কেটে নিতে হবে।তারপরেই যেটি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল বিভিন্ন মশলা দিয়ে ওই মাংসগুলোকে ম্যারিনেট করা।মশলার মধ্যে থাকছে জিরের গুঁড়ো, ধনের গুঁড়ো, নুন, চিনি, গোলমরিচের গুঁড়ো।তার আগে একটি বড় পাত্রে ভিনিগার দিয়ে তারপর এই সমস্ত মশলা দিতে হবে। তার মধ্যেই কেটে রাখা মাংসের টুকরো দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে।অন্তত ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ।ম্যারিনেট করা মাংস ফ্রিজেও রাখা যেতে পারে। না রাখলেও সমস্যা নেই।তারপর একটি প্যান বসিয়ে দিতে হবে গ্যাসে। ওই প্যানটাই হালকা গরম করে নিতে হবে।এক চামচ মাখন লাগিয়ে দিতে হবে গোটা প্যানে। এরই সঙ্গে ওই ম্যারিনেট করা মাংসটি সময়মতো বের করে মেটাল স্কিইউয়ারে এক এক করে ভরে দিতে হবে। খানিকটা কাঠি কাবাবের মতো।এরপরেই এক এক করে গরম প্যানে দিয়ে দিতে হবে।আস্তে আস্তে একটু পোড়া পোড়া ভাব হয়ে এলেই নামিয়ে নিতে হবে।উপরে একটু লেবুর রস ছড়িয়ে দিলেই রেডি পার্ক সৌভলাকি। তবে গ্রীসে শুধু এই পদ খায় না।