Last Updated on February 16, 2023 9:01 PM by Khabar365Din
৮ কোটি কর্মদিবস এবং ৮ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক
৩৬৫ দিন। পশ্চিম মেদিনীপুর অশোক কুমার মন্ডল।কারোর কোন প্ররোচনায় পা দেবেন না। কেন্দ্র মিথ্যে কথা বলছে, আমাদের সঙ্গে আর্থিক বঞ্চনা করছে। বিজেপি নেতারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে, রাজ্যকে বাড়ি রাস্তার টাকা দিও না। না হলে আমি ভোট চাইব কীভাবে? আমাদের জিএসটি ক্ষতিপূরণের টাকাও দিচ্ছে না কেন্দ্র। আপনাদের সারি ও সারনা সম্প্রদায় যেন স্বীকৃতি পায়, সেজন্য আমরা কেন্দ্রকে চিঠি লিখছি। কূর্মীদের নিয়েও চিঠি লিখেছি। গতকাল বাজেটে পাস হয়েছে, মার্চ মাস থেকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে যাদের নাম রয়েছে, ৬০ বছর পূর্ণ হলে তারা মৃত্যু পর্যন্ত এক হাজার টাকা করে পাবে। কারণ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত অনেকেই কর্মঠ থাকেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না, এখন বলছে আধার লিঙ্ক করতে হবে। গ্রামে সবাই অনলাইন করবে কীভাবে? জীবনটাকেই অনলাইন করে দিয়েছে ওরা, ৪ লক্ষ্য মানুষের কাছে সরাসরি পরিষেবা পৌঁছে দিয়ে বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কলেজিয়েট মাঠে এভাবেই একদিকে কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পাশাপাশি লক্ষীর ভান্ডার থেকে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে রাজ্যবাসীকে আশ্বাস দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পরিষেবা প্রধান অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন,
১. কেন্দ্র রাস্তায়, জলে, বাড়িতে, ১০০ দিনের কাজে কোন টাকা দিচ্ছে না। অথচ জনগণের ট্যাক্স নিয়ে দিল্লি টাকা তুলে নিয়ে যায়। কেন্দ্র সরকার অনুমোদন না দেওয়ায় ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হচ্ছে না। আবাস যোজনা প্রকল্পে ১৭ লক্ষ নাম কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। ১১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক সংস্কার করা হবে। তার জন্য রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। মৎস্যজীবীদের জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যে সকল মৎস্যজীবী বিভিন্ন কারণে মারা যাবে তাদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। সেচ এর জলের জন্য কোন কর লাগবে না।
২. প্রতিটি জাতির বিভিন্ন দাবি রয়েছে সেই দাবিগুলি রূপায়ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জাতিগত সমস্যা সমাধানের জন্য যা করার তাই করা হবে। রাজ্যের প্রতিটি মানুষকে সুরক্ষা রাখায় আমার কাজ। তাই প্রতিটি সম্প্রদায়ের যাতে কোন রকম অসুবিধা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেছে সরকার। প্রসঙ্গত, সারনা ও সারি সম্প্রদায়কে স্বীকৃতি দিতে রাজ্য সরকার বিধানসভায় একটি প্রস্তাব আনছে বলে সূত্রের খবর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩ শতাংশ ডিএ মার্চ থেকে দেওয়া হবে। কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনা সত্বেও বাংলায় সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প গুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়নি।বাংলায় সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলি চালু রয়েছে, আগামী দিনেও চালু থাকবে।
২. স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি যেসব ক্ষেত্রে কাজ করে সেখানেও আর্থিক বরাদ্দ কেটে নিয়েছে কেন্দ্র। তবুও আমরা এই বছর ৫ কোটি কর্মদিবস তৈরি করেছি। আগামী বছর ৮ কোটি কর্ম দিবস তৈরি করা হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৮ টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করা হবে।
৩. পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ভগবতী বিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর কলেজ কে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। গড়বেতা এক ব্লকের শিলাবতী নদীর ধারে গনগনিতে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। শালবনির কর্ণগড় কে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। দাঁতনের মোগলমারীকে ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
৪. বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা ব্লক অফিস গুলিতে দেওয়ারও আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্যে সবুজ সাথী প্রকল্পে ১ কোটি ২০ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হয়েছে। ক্লাস নাইনে উঠলেই ছেলে মেয়েরা সাইকেল পাবে আর দ্বাদশ শ্রেণীতে উঠলে স্মার্ট ফোন পাবে।
৫. আজ একই সঙ্গে চার লক্ষ মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে গেল। শিলান্যাস ও উদ্বোধন মিলিয়ে মোট ৬৯৬.৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
৬. পথ দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কোন কৃষকের মৃত্যু হলে তাদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।