Last Updated on May 26, 2022 9:46 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। ২৭ বছরের সেই পুরনো ইতিবৃত্তি! রাজ্যে আমের (Mango) আকাল মনে করাল ১৯৯৫ সালের কথা। ফিরল আম-বিপর্যয়। ফলন ঠেকল তলানিতে। দুই যুগ পর আমের উৎপাদন সর্বনিম্নে। ফলে, ম্লান হতে পারে জৈষ্ঠের বিকেলে হিমসাগর, ফজলী, চৌসার খাতির। কিন্তু, এই ঘাটতির কারণ কি? এই প্রসঙ্গে রাজ্যের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, এবার আমের ফলন অনেকটাই কম। গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম অর্থাৎ, অর্ধেকের একটু বেশি উৎপাদন হয়েছে। তিনি কারণ ব্যাখ ্যা করে বলেন, মোট তিনটি কারণ এর জন্যে দায়ী। প্রথম, এবারের অস্বাভাবিক গরম, শীতের পর থেকে কোনরকম বৃষ্টি হয়নি। নাগাড়ে প্রায় ৮০ দিন বৃষ্টি হয়নি বঙ্গে। ফলে, মুকুল এসেও খসে গিয়েছে। মুকুল নষ্ট হওয়ার কারণেও আমের ফলন এত কম। শীতে অতিবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি, গ্রীষ্মে অনাবৃষ্টির কারণে ক্ষতি।
দ্বিতীয় কারণ, মরশুম শেষ হওয়ার পর গাছের পরিচর্যা জরুরি। প্রত্যেক বছর এটা নিয়ম মেনে করা হয়। কিন্তু, করোনা করোনা করে এবারে সেই পরিচর্যা সঠিকভাবে করা যায়নি। ফলে, আম গাছে আগাছা জন্মেছে। মুকুল ঠিকভাবে আসেনি এবং বেড়ে ওঠেনি। এছাড়াও, নিয়মিত স্প্রে করতে হয়। কারণ গাছের পাতায় ধুলে জমে যাওয়ার কারণে মুকুল ধরেনি। সেটাও একটি কারণ। রাজ্যে মূলত সিংহভাগ আমের উৎপাদন হয় মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলিতে। কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় আমের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। এই বিষয়ে সহমত জানিয়ে ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথ কোলে জানান, প্রথম দিকে বৃষ্টির অভাবে আম গোড়া থেকে আলগা হয়ে পড়ে গিয়েছে। নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও, যেগুলো থাকছে সেগুলোর আকার তুলনামূলক ভাবে ছোট। এবং স্বাদের দিক থেকেও আসতে পারে বদল। বিভিন্ন বাজার সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কলকাতায় কাঁচা আমের দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকা। এই প্রসঙ্গে এক ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, রাজ্যের হিমসাগরের চাহিদা দেশজুড়ে। তাই, এখান থেকে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে যায় হিমসাগর। কিন্তু, এবারে ফলন দেখে আম রপ্তানির পর রাজ্যে কিছুটা বাড়তে পারে আমের আকাল। মানিকতলার এক ব্যবসায়ী জানান, বৃষ্টির অভাবে আমের স্বাভাবিক স্বাদ এবং গন্ধেও পরিবর্তন এসেছে। তুলনামূলক ছোট হচ্ছে আমের সাইজ। মিষ্টতা ভাব ও কম।