নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের সার্টিফিকেট মমতাকে, “দুয়ারে সরকার ও দিদিকে বলো উন্নয়নের গ্লোবাল মডেল”

0

Last Updated on July 23, 2021 5:20 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। বাংলায় দুয়ারের সরকার এবং সরাসরি ফোন করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য দিদিকে বল প্রকল্প চালু করে বাংলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে সরকারি সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি বড় ভূমিকা পালন করেছে নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে। মমতার এই দুই প্রকল্প নিয়ে এমনই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সংস্থা প্রতীচি। কয়েকদিন আগে ভারত এবং বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নারী শক্তির বিকাশ নিয়ে কাজ করা প্রতীচি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেখানে রীতিমতো তথ্য এবং পরিসংখ্যান দিয়ে বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতি এবং নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে মমতার এই দুই প্রকল্পের কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করা হয়েছে বিস্তারিতভাবে।

গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়ন

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়শই তার প্রধান শক্তি হিসেবে বাংলার মহিলাদের কথা বলেন। সেটা কতখানি সত্যি তার প্রমাণ গ্রামীণ এলাকার মহিলারা দিদিকে বলো প্রকল্পে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রায় ৪৫ শতাংশ। অধিকাংশ সংসারে পুরুষরাই এখনো পরিবারের কর্তা হওয়া সত্বেও যেভাবে মহিলারা এগিয়ে আসতে সাহস পেয়েছেন তা আসলে মমতার নেতৃত্বে সরকারের সাফল্য। যে পরিমান মহিলা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তা আসলে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রমাণ করে। মমতার এভাবে বাংলার নারী শক্তির ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের জন্য কন্যাশ্রী, রুপশ্রী এবং বিভিন্ন শিক্ষামূলক স্কলারশিপ প্রকল্প চালু করেছেন তার ফলে বাংলার মহিলাদের মধ্যে শিক্ষা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, একটা বড় অংশের মহিলারা যেভাবে করোনা জনিত সমস্যা এবং আম্ফান এর মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, তা আসলে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি এবং সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি প্রমাণ করে। রাজ্য সরকারের থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে অভিযোগ জমা পড়েছিল প্রায় ১৭ শতাংশ ও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যা ১১ শতাংশ। যেখানে মোট জমা পড়া অভিযোগের প্রায় ৯৫ শতাংশ সমাধান করেছে সরকার।

দুয়ারে সরকারের সাফল্য

২০১৯ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পাবলিক গ্রিভেন্স রিড্রেসাল সেল বা অভিযোগ জানানোর জন্য প্রকল্প তৈরীর পাশাপাশি সরকারের সমস্ত সুবিধা এবং প্রকল্প সাধারণ মানুষের বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার চালু করার পরে কমপক্ষে পৌনে তিন কোটি মানুষ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেছেন আগামী ১৬ অগাস্ট থেকে রাজ্যের প্রতিটি এলাকায় আবার শুরু হতে চলেছে দুয়ারে সরকার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here