রাজ্যে ঘরে ঘরে পোস্তর বড়া হোক, সস্তায় পোস্ত চাষের অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী

0

Last Updated on March 10, 2023 6:43 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। রাজ্যে পোস্ত চাষের অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছে বাংলার সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অতীতেও এই নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। বাঙালির ঘরে সস্তায় পোস্ত পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় কেন পোস্ত চাষ করতে দেওয়া হবে না, এই নিয়ে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দাবিতে রাজ্যের বিরোধী বিধায়কেরাও যাতে পাশে দাঁড়ান সেই আবেদনও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন অধিবেশনের প্রায় শেষ লগ্নে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আসেন। তার আগে রাজভবনে গিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, রাজ্যে পোস্ত চাষের অনুমতি নেই। বাজারে যেসব পোস্ত পাওয়া যায় তার অধিকাংশই আসে অন্য দেশ বা অন্য রাজ্য থেকে। সেই কারণে পোস্তর দাম সব সময়েই বেশি থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এ রাজ্যে পোস্ত চাষ হলে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই তা পাওয়া যাবে। পোস্ত বাঙালির কাছে সবসময় প্রিয় খাবার। বাঙালি সব সময় পোস্তর বড়া, আলু পোস্তর মত পদগুলি ভোজের পাতে পেতে চায়। কিন্তু স্বাদ থাকলেও সাধ্য থাকে না অনেকেরই। এদিন বিধানসভায় খাদ্য বাজেট নিয়ে আলোচনার সময় ভাজপা বিধায়কদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ আলু পোস্ত, পোস্ত ভাজা খান না আপনারা? তাহলে শুধুমাত্র চারটি রাজ্যে কেন চাষ হবে? আমাদের কেন চাষ করতে দেওয়া হবে না। বিরোধী বন্ধুরাও বলুন। সব পোস্তয় নেশার জিনিস তৈরি হয় না। পোস্তর বড়া খেতে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে কেন? আমি অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখেছি। ‘একইসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান কীভাবে পেঁয়াজ থেকে বড় মাছ, যেগুলি আগে ভিন রাজ্য থেকে আমদানি করা হত, সেগুলি বর্তমানে রাজ্যে চাষ করে বাংলা এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে।

এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ নিজেরা চাষ করলে অনেক কম পয়সায় আমরা পোস্ত পাব। কেন আমাদের বেশি দামে পোস্ত কিনতে হবে? আজকে ড্রাগন ফল ভাল চাষ হচ্ছে বাংলায়। এখন কফি থেকে শুরু করে অনেক কিছু হচ্ছে বাংলায়। আগে পেঁয়াজ আমদানি করা হত। এখন প্রয়োজনের ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ আমরা তৈরি করছি। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমে পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। আগে আমরা বাংলাদেশের ইলিশ খেতাম। এখন আমরা নিজেরা ইলিশ মাছ চাষ করছি। ডায়মন্ড হারবারে ইলিশ গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করেছি। তাই বাংলাদেশের উপর আর নির্ভর করতে হবে না আমাদের। হাঁসের ডিম আমরা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। পোল্ট্রি এবং হাঁসের ডিমের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে। আজ বড় মাছ চাষেও বাংলা সাবলম্বী হয়েছে। উন্নয়নের এই কাজে আপনাদের সকলকে পাশে চাই।’ প্রসঙ্গত অতীতেও, ২০২০ সালে ভুবনেশ্বরের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির বৈঠকের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর কাছে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই কেন্দ্র অনুমতি দিলে প্রশাসনিক সুরক্ষাকবচে রাজ্যে পোস্ত চাষের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে বলে অমিত শাহকে জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার পরেও এই নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান নয় কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে বাংলার সরকার। তিন কোটি মানুষকে বিনামূল্যে চাল দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করব, যে তিন কোটি মানুষকে চাল দেওয়া হয় তার জন্য যা খরচ হয় তা যেন আমাদের দেওয়া হয়।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here