অনিত-রোশন বিভেদ মিটিয়ে দার্জিলিঙের উন্নয়নে জোর, শিল্পায়নে পাহাড়ে বিপুল কর্মসংস্থান

0

Last Updated on October 26, 2021 10:34 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। জয়দীপ সরকার ও পূজা কুণ্ডু। কার্শিয়াং। পাহাড়ে শান্তি চায় তৃণমূল সরকার। পাহাড়ের অনিত ও রোশন রাজনৈতিক বিভেদ মিটিয়ে দার্জিলিংয়ের উন্নয়ন নজর কায়েম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার কার্শিয়াং কমিউনিটি হলে কালিম্পঙ, কার্শিয়াঙ ও দার্জিলিংকে নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও ধমকে কখনও বুঝিয়ে এদিন পাহাড়ে ঢালাও উন্নয়নের মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থানেই নজর কায়েম করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিন জেলার সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকের শুরুতেই পাহাড়ের উন্নয়নে জিটিএকে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন টাকা ছিল না ওরা কাজ করতে পারছিল না।বাজেটে ১৭৫ কোটি টাকা ধ্যার্য করা হয়েছে। গত সোমবারই কিন্তু ৪৩ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের চার ব্লক কার্শিয়াং, কালিম্পঙ, দার্জিলিং মিরিকে কমিউনিটি হল জয়হিন্দ ভবন গড়ার নির্দেশ দেন। তিনি পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে একই সঙ্গে পাহাড়ের ছেলে মেয়েদের কর্মসংস্থানের ওপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন পাহাড়ে টি ট্যুরিজম থেকে হটি কালচার, পানীয় জলের বটলিফ কারখানার মতো সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন উত্তরবঙ্গে কাজ দরজায় নক করছে। অথচ ছেলেরা বাইরে চলে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন পাহাড়ে ছেলে মেয়েরা খুব স্মার্ট হয় এক্সপার্ট হয়। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করুন। পাহাড়ের শান্তি বজিয়া রেখে উন্নয়ন করতে বলে পাহাড়ের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অনিত থাপা রোশন গিরি থেকে শান্তা ছেত্রী সকলকে সাফ সতর্ক করে বিজেপিকে নিশানায় রেখে বলেন কিছু রাজনৈতিক দল আছে যারা বিভাজন চায়, মিথ‍্যা কথা বলে। তিনি ফের মনে করিয়ে দেন বাংলার মধ‍্যে থাকলে পাহাড়ের উন্নয়ন হবে। এদিন দার্জিলিংয়ের উন্নয়নে অনিত থাপা, রোশন গিরিকে একসঙ্গে নিয়ে একটি ছোট স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।

গৌতম দেবকে রেখে দার্জিলিং পাহাড়ের উন্নয়ন প্ল্যান তৈরীর করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্দেশ দেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর ও জিটিএ এর দায়িত্বে থাকা চিফ সেক্রেটারী অজিত রঞ্জন বর্ধনকে জিটিএ এর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে জেলশাসক এস পুনম বললমকে পাহাড়ের জিটিএ এর দায়িত্ব দেন। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের উদ্দেশ্যে সাফ বলেন এখন রাজনীতি নয় আগে উন্নয়নে কাজ করি। পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জন প্রতিনিধিদের বলেন তোমরা সুযোগ দাও দেখো কি করি। তিনি অনিত থাপাকে বলেন তুমি নতুন দল করেছো তার জন্য অভিনন্দন। তবে মিলে মিশে শহরের উন্নয়নের কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক দল নির্বাচনের সময় আসে। এদের লক্ষ্য ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেওয়া। বরং তোমরা বলো কিভাবে স্থায়ী সমাধান হয়। দার্জিলিংকে বাংলায় থেকে যেন উন্নয়নে প্রসার করা যায়। দশ বছর পর পর আন্দোলনের নামে সবকিছু ভাঙচুর করে চলে যায়। গোজামুমুর সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিকেও একসঙ্গে উন্নয়নের কাজের নির্দেশ দেন তিনি। নতুন ভোটার তালিকা হাতে এলেই জিটিয়ে নির্বাচনে আমরা যাব জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত ত্রিস্তরীয় নির্বাচন এবং জিটিয়ে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন প্রথমে আপনারা পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ভাবুন। তিনি বলেন আমরা পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান করতে চাই। অনিত রোশন সহ পাহাড়ের রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে তিনি সাফ জানিয়ে দেন প্রথমে আপনার নিজেরা সেই পরিস্থিতি তৈরি করুন। জিটিএ নির্বাচন হবে। এদিন শান্তা ছেত্রীকে অনিতের বিরুদ্ধে মন্তব্য পেশের জন্য জোড় ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠকের সকলের সামনে কার্শিয়াং সাংসদ শান্তা ছেত্রীকে তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তুমি কেন অনিতের বিরুদ্ধে মন্তব্য পেশ করতে গেলে? তুমি চুপ থাকবে। বলবে আমরা সবাই এক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here