Last Updated on August 12, 2021 11:33 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। ত্রিপুরায় দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে ভাজপা আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণে আহত ছাত্র ও যুব নেতাদের দেখতে আবার এসএসকেএম হাসপাতালে গেলেন মমতা। গত সোমবার ঝাড়গ্রামে যাওয়ার পথে এসএসকেএম-এ সুদীপ রাহা, জয়া দত্তদের দেখতে গিয়ে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ত্রিপুরাই এবার তাঁর প্রথম লক্ষ্য। আজ আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে জয়া দত্ত, সুদীপ রাহাদের দেখতে এসএসকেএম-এ দেখতে গিয়ে মমতা বলেন, ত্রিপুরাতেও রংবদল হবে, দিল্লিতেও রং বদল হবে। ত্রিপুরায় বর্বরের সরকার চলছে। বিজেপির একজনকেও ভোট দেওয়া উচিৎ নয়। সংবাদমাধ্যমকে মুখ খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইছি, ত্রিপুরায় যা ঘটল, তারপর কোথায় মানবাধিকার কমিশন! বাইরের রাজ্য থেকে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে ওখানে। বাইরে থেকে কেউ গেলেই তাঁদের গ্রেফতারের মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু আমরা পিছু হঠব না, আমরাও দেখে নেব।
এর পাশাপাশি ভাজপা শাসিত ত্রিপুরায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করে মমতা বলেন, ত্রিপুরায় জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। সমস্ত ক্রিমিনালরা ঘুরে বেড়াচ্ছে আর আমাদের নামে মামলা দিচ্ছে। বিজেপি যেখানে সরকার চালাবে সেখানেই অরাজকতা। ত্রিপুরায় সবার নামে এফআইআর করেছে। কী করবে? ওখানে নামলেই গ্রেফতার করবে? মনে রাখবেন এখানেও কিন্তু আমাদের হাতে আইন আছে। আমরা তা প্রয়োগ করতে চাই না।
ভাজপা যেভাবে বাংলাতে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে অরাজকতা তৈরী করার চেষ্টা করেছিল সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে মমতা অভিযোগ করেন, বিজেপির একজনকেও ভোট দেওয়া উচিত নয়। ২ লক্ষ বহিরাগত, গুণ্ডাও পাঠিয়েছিল। এখন অনেকে বিদেশ থেকে আসছে। বিজেপি নেতারা যেখানে ইচ্ছা যেতে পারে। আমরা যাব, ভোটে জিতব। আমি অবশ্যই যাব। আর ত্রিপুরায় জিতব। ত্রিপুরার লড়াই বজায় থাকবে।
একইসঙ্গে নিজের পায়ের স্ক্যান করিয়েছেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে বিরুলিয়া বাজারে পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন মমতা। তিনি বলেন, আমার পায়ের পুরনো আঘাত স্ক্যান করব। জয়াকে আজ ছেড়ে দেওয়া হবে। জয়াকে আর সুদীপকে দেখতে এসেছিলাম। আমি আর অভিষেক দেখতে এসেছিলাম। আমার বোনেরও অপারেশন হয়েছে।