Last Updated on February 5, 2022 11:27 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। শ্বেতশুভ্র তুষারে ঢেকেছে শৈলশহর দার্জিলিঙ (Darjeeling)। গত দুদিন ধরেই দার্জিলিঙের রাতের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। দার্জিলিংয়ের পর এবার দশ বছর পরে লাভা (Lava) লোলেগাঁও (Lolegaon) রিশপ (Rishop), সোনাদায় (Sonada) রেকর্ড পরিমাণ বরফ পরল। লাগোয়া লিনসে, চিমনে এলাকাতেও বরফ পড়েছে শনিবার। এর পরেই উল্লসিত হোটেল ব্যবসায়ীরা। দার্জিলিঙে বরফ পড়লেও, পাহাড়ে গত ১০ বছর বাদে রিশপ, লোলেগাঁও, সোনাদায় এদিন সকাল থেকে বরফের মাঝেই পর্যটকেরা (Tourist) বাইরে বেরিয়ে পড়েন। উপভোগ করেন তুষারপাত (Snowfall)। শীতের শেষে লাভা, লোলেগাঁও, রিশপ এর মত দার্জিলিং এর তুলনায় অতোটা জনপ্রিয় নয় অঞ্চলে বরফ পড়ার ফলে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়েছে। শুক্রবার রাতে তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস এক ডিগ্রিতে। সিঙ্গামারি সহ পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে তুষারপাত হয়। এমনকি শনিবার সকাল ১০.৩০ থেকে বেলা ১২.৩০ পর্যন্ত তুষারপাত হয়। প্রায় ১ ইঞ্চি পুরু বরফে ঢাকা পড়ে পাহাড়ের রাস্তা। এই নিয়ে চলতি মরসুমে প্রায় পাঁচ থেকে ছ’দিন পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় তুষারপাত হল, যা সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার সকাল পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোন রাস্তা তুষারপাতের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এমন খবর নেই।
কিছু রাস্তায় স্বাভাবিকভাবে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল, সেখানে পর্যটকদের ভিড় ছিল দেখার মতো। কোন হোটেল ফাঁকা নেই, তুষারপাত হওয়ার ফলে এলাকার প্রায় প্রতিটি হোটেলই ভর্তি হয়ে গিয়েছে। এদিন বেলা বাড়ার পরে রাস্তা পরিষ্কার করে ফের যান চলাচল শুরু করে দেওয়া হয়। তবে পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। বিশেষ করে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর যেভাবে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে তাতে, বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে সান্তাকফু (Sandakphu), টাইগার হিলের (Tiger Hill) মতো উঁচু জায়গাতে আবার তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে অপেক্ষাকৃত নীচু জায়গাতেও তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে প্রবল ঠান্ডা এবং তুষারপাত তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন পাহাড়ের পর্যটকরা। লাভা, লিংসে, চিমনে, সোনাদা-তেও শনিবার দুপুর থেকে তুষারপাতে খবর পাওয়া গিয়েছে যে বেশ বেনজির বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় হোমস্টে গুলিও সব ভর্তি হয়ে রয়েছে পর্যটককে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে মূলত পর্যটকেরা চুঁইয়ে চুঁইয়ে উপভোগ করছে এই তুষারপাত।