Last Updated on December 28, 2021 11:39 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। রাতভর তার ঘন ঘন গর্জন শোনা গিয়েছিল। ৫ দিন ধরে অভুক্ত। একাধিকবার জঙ্গল ঘিরে রাখা ত্রি-স্তরীয় নাইলনের জাল কেটে বেরনোর চেষ্টাও করেছিল সে। তবু কিছুতেই তার নাগাল পাচ্ছিলেন না বনকর্মীরা। অবশেষে ৬ দিন পর ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হয়ে খাঁচাবন্দি হল রয়্যালবেঙ্গল। হাঁফ ছাড়ল বনদফতর, পুলিশ থেকে কুলতুলির ডোঙাজোড়ায় শেখপাড়ার জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। বনদফতর সূত্রে খবর, আপাতত বাঘটিকে পুর্নর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক টিম আগে থেকেই তৈরি রাখা হয়েছে সেখানে। বাঘটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। তাকে অন্তত তিন-চার দিন পর্যবেক্ষনে রাখা হবে। তারপর চিকিৎসক দের পরামর্শ মত তাকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানো হবে। শুরুটা হয়েছিল ঠিক এক সপ্তাহ আগে।মৈপীঠে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পারেন বেশ কয়েক জন গ্রামবাসী।
বনদপ্তর নিশ্চিত করে এটি বাঘের পায়ের ছাপ। এর পরের দিন একই রকম এর পায়ের ছাপ দেখা যায় কুলতলিতে। পরের তিনদিন পুরনো কেল্লা জঙ্গলে বনদপ্তর এর সঙ্গে কার্যত লুকোচুরি খেলে রয়্যাল বেঙ্গল। বনকর্মীরা গোটা জঙ্গল কেটে ফেললেও বাঘকে বাগে আনা যায়নি। বনদপ্তর যখন পুরনো কেল্লা জঙ্গলে ফাঁদ পেতেছে তখন বাঘ পিয়ালী নদী পেরিয়ে সোজা ঢুকে পড়ে শেখপাড়ার জঙ্গলে। টানা দু’দিন সেখানে তল্লাশি চালিয়ে রয়্যালবেঙ্গল এর কোনো হদিস পায় নি বনদপ্তর। যদিও দেখা না দিলেও প্রতিদিন নিয়ম করে ঘনঘন অস্তিত্বের জানান দিয়েছে সে গর্জন শোনা গিয়েছে কখনো কখনো আবার এক ঝলকের জন্য দেখা গিয়েছে ডোরাকাটার ঝিলিক। বাঘ দেখতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে জখম হন এক গ্রামবাসী ও পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে তারা ১৪৪ ধারা পর্যন্ত জারি করতে হয় ওই এলাকায়। সোমবার থেকে তল্লাশি অভিযানের ধার আরো বাড়ায় বনদপ্তর।