Last Updated on October 5, 2020 11:02 AM by Khabar365Din
365 দিন। মাঝরাতে হাসনাবাদ থানায় হাজির মাঝ বয়সী এক ব্যক্তি। হাতে ধরা কুড়ুল থেকে চুঁইয়ে পড়ছে রক্ত। স্বভাবতই থানায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা চমকে ওঠেন এই দৃশ্য দেখে। যদিও ওই ব্যক্তি কিন্তু ভাবলেশ হীন। শান্ত গলায় তার স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, ‘বউয়ের মাথায় কুড়ালের কোপ মেরে খুন করেছি।’ এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটলো উত্তর 24 পরগনার হাসনাবাদের বরুনহাট এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, যে ব্যক্তি থানায় এসে খুনের স্বীকারোক্তি করেছেন তার নাম সাধন মণ্ডল। তিনি যাকে খুন করেছেন তার নাম দিপালী মণ্ডল ওরফে নমিতা মণ্ডল (38)। পেশায় সবজি বিক্রেতা সাধনের অভিযোগ, বেশ কয়েক মাস ধরে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রী অর্থাৎ দিপালীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে একাধিক বার বচসা হয়েছে। রবিবার রাতে দিপালীকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে তাকে খুঁজতে বেরোয় সাধন। অভিযোগ, স্থানীয় এক প্রতিবেশী ব্যক্তির সঙ্গে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান তিনি। এরপরই স্ত্রীকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। এক হাতে দাঁ আর অন্য হাতে কুড়ুল নিয়ে স্ত্রীকে রীতিমতো তাড়া করেন তিনি। এরপর প্রকাশ্যে স্ত্রীর মাথায় কুড়ুলের কোপ বসিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দিপালীর। পরে রক্তমাখা কুড়ুল নিয়ে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সাধন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।দিপালী মণ্ডলের দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। নিছক বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন নাকি ঘটনার পিছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। যে প্রতিবেশী ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ পুলিশ তাকেও খুঁজছে বলে জানা গিয়েছে।