Last Updated on July 14, 2021 4:39 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। পামেলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নয়া মোড়। বর্ধমানের গলসি থেকে গ্রেফতার তারই বয়ফ্রেন্ড সানি। সানির বিরুদ্ধেই পুলিশের কাছে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ তুলেছিল পামেলার পরিবার। বালির জাতীয় স্তরের ক্যারাটে খেলোয়াড় পামেলা অধিকারীর ( ১৪ ) রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে ঘটনার ১০ দিনের মাথায় গ্রেফতার হলেন তার বয়ফ্রেন্ড শেখ তারুফ ওরফে সানি খান ( ১৯ ) নামের এক যুবক। সানির বিরুদ্ধে পামেলাকে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ উঠেছিল। আপত্তিকর ছবি চেয়ে ব্ল্যাকমেইল করতো সানি। পামেলা আত্মঘাতী হওয়ার আগে এই সানি তাকে ফোন করে হুমকিও দিয়েছিল বলে অভিযোগ। হাওড়ার বালি থানার পুলিশ সূত্র মারফত খবর পেয়ে বর্ধমানের গলসি থেকে মঙ্গলবার সানিকে গ্রেফতার করে। বুধবার দুপুরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে তাকে মেডিকেল চেকআপের পর হাওড়া কোর্টে তোলা হয়। বিভিন্ন তরুণীর ছবি নিয়ে সুপার ইম্পোজ করে টিকটক ভিডিও পোস্ট করা হতো বলে অভিযোগ। পুলিশ ফোন ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে প্রায় এক বছর আগে পামেলার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় শেখ তারুফ ওরফে সানি খানের। এরপর তাদের একে অপরের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের উভয়ের সামনাসামনি দেখা না হলেও, সম্পর্কের সূত্রে পামেলা সানির কাছে তার বেশ কিছু আপত্তিকর ছবি পাঠায় বলে জানা যায়। এদিকে, কিছুদিন পর পামেলা জানতে পারে সানি বিবাহিত। তখনই সে তাদের সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এরপর থেকেই সেই আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় সানি। ৪ জুলাই পামেলাকে অভিযুক্ত সানি আরও আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি পাঠাতে বলে। তা না হলে আগের সেই অশ্লীল ভিডিও ও ছবি পামেলার বাবা-মার কাছে পাঠিয়ে দেবে দেবে বলে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। মনে করা হচ্ছে, এই কারণেই পামেলা প্রবল মানসিক চাপে পড়ে যায়। সেই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ওই দিনই সে তার বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।