৩৬৫ দিন। ফিকে বর্ষা! আষাঢ় এও কি ফাঁকি পড়বে দক্ষিণবঙ্গ? নিষ্ক্রিয় মৌসুমী বায়ু। ফলে, প্রথম থেকেই মন্দ দক্ষিণের বৃষ্টি ভাগ্য। নিম্নচাপের ভরসায় দিন গুনছিল শহরবাসী। তবে, সেই নিম্নচাপের প্রভাবমুক্ত থাকবে বঙ্গবাসী। বুধবার তেমনই জানাল আবহাওয়া দফতর।
দফতরের এক বিজ্ঞানী জানান, মূলত দূরত্ব এবং অভিমুখ বদলই এর কারণ। তাই, পরোক্ষ প্রভাব থেকেও বাদ পড়ল শহরবাসী। দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানান, রাজ্যে মৌসুমী বায়ু দুর্বল।
আগামী কয়েক দিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে এবং গোটা রাজ্যেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টি হবে। তাপমাত্রা খুব একটা কমবে না। ফলে, অস্বস্তি থাকবে।এদিকে, বাংলাদেশ উপকূল থেকে আসা ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িতে পরিণত হবে নিম্নচাপে। তবে, সেটি ওড়িশা এবং ছত্রিশগড়ে থাকায় বাংলায় এর প্রভাব পড়বে না। অর্থাৎ আরও একবার বৃষ্টিহীনতা। আগামী ২৪ ঘন্টায় এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে।
গতকাল, দিন দুয়েকের শুষ্কতার পর বেশ কয়েক দফায় ভেজে শহরের রাজপথ। একইসঙ্গে বৃষ্টি হয় দুই ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, বীরভূম,নদিয়া, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জেলায়। তবে ভারী বৃষ্টির আপাতভাবে কোন সম্ভাবনা নেই এখন। হলেও টুকরো টুকরো এলাকায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। চলতি মরশুমে দক্ষিণবঙ্গে দেরীতে বর্ষা প্রবেশ। তার উপরে কোন নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত নেই।
ফলে, সক্রিয় ভূমিকায় নেই মৌসুমী বায়ু। জুন কেটেছে নিম্নচাপ ছাড়াই। ফলে, মাসের শেষ দিনে বৃষ্টির অভাব ছিল চোখে পড়ার মত। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির অভাব প্রায় ৫০ শতাংশ। উত্তরবঙ্গে আবার বিপরীত ছবি। সেখানে স্বাভাবিকের থেকে ৫০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি।
মৌসম ভবনের খবর, ওড়িশা উপকূলে থাকা ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ওড়িশা, ছত্রিশগর, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটকে।