Belur Math: বেলুড়ের পবিত্র গঙ্গাজলেই কোচির রামকৃষ্ণ মিশনের ৭৫ বছর পূর্তির এবার শুভ সূচনা

0

Last Updated on April 14, 2023 7:21 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। বেলুড়ের পবিত্র গঙ্গাজলেই কোচির রামকৃষ্ণ মিশনের ৭৫ বছর পূর্তির এবার শুভ সূচনা হতে চলেছে। এই পুণ্য কলস কোচি আশ্রমের রামকৃষ্ণ মন্দিরের গর্ভগৃহে রক্ষিত হবে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তা গ্রহণ করে শুক্রবার বেলুড় মঠ থেকেই কোচির মহারাজদের হাতে তুলে দিয়েছেন। কেরলের রামকৃষ্ণ মিশন কোচি কেন্দ্রের এবার ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বেলুড় মঠের মায়ের ঘাট থেকে সংগৃহীত গঙ্গাজল পাঠানো হচ্ছে কোচিতে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তা গ্রহণ করেন। তারপর সেই কলস তিনি কোচির মহারাজদের হাতে তুলে দেন। শুক্রবার সকালে এই উপলক্ষে রাজ্যপাল এসে পৌঁছান বেলুড় মঠে। সেখানে পৌঁছান কোচি আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী ভুবনাত্মানন্দ ও আশ্রমের ট্রাস্টি সদস্যরাও। এই পুণ্য কলসটি কোচি আশ্রমের রামকৃষ্ণ মন্দিরের গর্ভগৃহে রক্ষিত হবে। রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসও এবছর।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বেলুড় মঠে আসেন রাজ্যপাল। সেখানে গঙ্গা জলের কলস প্রথমে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় মঠের তরফ থেকে। এরপর সেই কলস তিনি কোচির মহারাজদের হাতে তুলে দেন। কোচির মহারাজরা এই গঙ্গা জলের কলস দিয়েই তাঁদের অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করবেন। এবছর একদিকে যেমন কেরালার কোচির রামকৃষ্ণ মিশনের ৭৫ বছর পূর্তি, এর পাশাপাশি এবছর রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫ তম বর্ষ। সেই উপলক্ষেই কোচি রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজদের ইচ্ছে ছিল বেলুড়ের গঙ্গাজলে অনুষ্ঠানের সূচনা হোক। সেইমতনই এই আয়োজন বলে জানা গেছে। এদিন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ বলেন, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের কোচিতে একটা পুরনো আশ্রম আছে। যেসব আশ্রম রামকৃষ্ণ ও মিশনের ভাবধারায় চালিত হয় সেখানে ১২৫ বছর সাড়ম্বরে উদযাপন করছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীও ১২৫ বছর উদযাপন উদযাপনে সাহায্য করছেন। ভারতের ন্যাশানাল কমিটি ফর ইমপ্লিমেন্টেশনের পক্ষ থেকে ঠিক করা হয়েছে ১মে, ২০২২ থেকে ১মে ২০২৩ পর্যন্ত এই বর্ষ উদযাপিত হবে।

এই বর্ষ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্গে ভারত সরকারও পালন করবে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ভারত সরকার আর্থিক সহায়তা করেছেন। যথাযথ মর্যাদা এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হচ্ছে এই উৎসব। কেরালার ঐতিহ্য অনুসরণ করে বেলুড় মঠের গঙ্গার জলের পুণ্যকুম্ভ কোচির মঠে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই পুণ্যকুম্ভ বেলুড় মঠে উপস্থিত কোচির অধ্যক্ষকে সমর্পণ করেছেন রাজ্যপাল। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছিল এই পুণ্যকুম্ভ অধ্যক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। এই পুণ্যকুম্ভকে সামনে রেখে তাদের উৎসব ও অনুষ্ঠান পালন হবে।এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, ভারতের এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে এটা একটা সাঙ্কেতিক ব্যাপার। রামকৃষ্ণ পরমহংস এবং বিবেকানন্দ বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিকতা এনেছিলেন দেশে। কেরালা একটা জায়গা যেখানে বিবেকানন্দ এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসদেরবের ভাবধারায় মানুষকে আলোকিত এবং সক্ষম করা হয়েছিল। এটা এক ধরনের সংস্কৃতি যেটা শুরু হয়েছিল বাংলা এবং কেরালায়। আধ্যাত্মিকতা এবং মাহাত্ম্য যার প্রতিনিধিত্ব করেছে রামকৃষ্ণ মিশন। এটা শান্তির, আধ্যাত্মিকতা, মাহাত্ম্য, ভালবাসা, শ্রদ্ধা এবং একতার মেসেজ।