Last Updated on June 10, 2023 7:37 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। কাঠ থেকে রং পুরীর রথের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক তথ্য। ফাসি, ভাউনরা, আসানা মূলত এই তিন ধরনে কাঠের প্রয়োজন হয় রথ নির্মাণে। শোনা যায় পুরীর রথের নির্মাণে ১,১০০ বড় কাঠের প্রয়োজন হয়। যা ১২ ধরনের কাঠ থেকে আসে ।রথযাত্রায় জগন্নাথ, শুভদ্রা, বলরামের তিনটি আলাদা তৈরি করা হয়। এই রথের আবার আলাদা নাম থাকে। জগন্নাথের রথটির নাম নন্দীঘোষ, বলরামের রথটির নাম তলধ্বজ এবং সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন । তিনটি রথের রংও আলাদা হয়। জগন্নাথের রথের রং হয় লাল-হলুদ। এটি মূলত বিষ্ণুর পছন্দের রং। অন্যদিকে বলরামের রথের রং লাল-সবুজ এবং শুভদ্রার রথ লাল -কালো রঙের ।
তিনটি রথের ঘোড়ারও আলাদা নাম রয়েছে। যেমন জগন্নাথদেবের রথের চারটি ঘোড়ার নাম শঙ্খ, বলহাকা, শ্বেতা, হরিদশ্ব। বলরামের চারটি ঘোড়ার নাম তীব্র, ঘোড়া, দীর্ঘশর্মা ও স্বর্ণাভ। ঘোড়ার রঙও হয় ভিন্ন। জগন্নাথের রথের জন্য থাকে সাদা রঙের ঘোড়া, বলরামের রথের জন্য কালো এবং শুভদ্রার রথের জন্য লাল রঙের ঘোড়া থাকে।পুরীর রথে জগন্নাথ মহাপ্রভুর দর্শন হওয়া খুব শুভ বলে বিবেচিত।এই বিশ্বাস থেকেই অধিকাংশ দর্শনার্থী রথ দেখার জন্য ফি বছর ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও দর্শনার্থী।
রথ নিয়ে অনেক উন্মাদনায় দেখা যায়৷ কিন্তু পুরীর রথের অনেক তথ্যই অজানা আমাদের কাছে ৷
পুরীর রথ চলার সময় রাস্তায় তিনটি দাগ পড়ে — তা হল গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী৷ যারা রথের দড়ি ধরার সুযোগ পান না, তারা যদি চাকার এই তিনটি দাগের ধুলি গ্রহণ করেন, তাহলে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীতে অবগহনের ফল লাভ করেন৷
রথের দড়ি —বাসুকি৷ সেজন্য বলা হয় রথের দড়ি ধরলে পুন্য হয়৷ বাসুকির কৃপা লাভ হয়৷
এই তিনটি রথের রথীর নাম দারুক৷ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের স্থাপত্যের মিশেলে তৈরি হয়েছে এই রথগুলি৷ রথের আকৃতি জৈনস্তূপের মতো৷
দক্ষিণ ভারতীয় দেশর বা নথ, পূর্ব ভারতীয় দেউল ও উত্তর ভারতীয় ধাঁচের নাগরের তৈরি হয়েছে পুরীর জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ৷