৩৬৫ দিন। ছোট থেকে আরও ছোট হচ্ছে পরিবার। একা থাকার অভ্যাস রপ্ত করতে বাধ্য হচ্ছেন প্রবীনেরা।আবার ছেলেমেয়েদের থেকে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন তাঁরা।বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া,এমনকি শারীরিক অত্যাচার করা এমন ঘটনা ঘটে প্রায়শই।আবার অনেক ছেলেমেয়রাই কাজের জন্য বাইরে থাকেন।সেই সময় একাকীত্ব বোধ করেন অনেক বাবা-মায়েরাই।তবে তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছে রাজ্য।
গত কয়েকবছরের মতো এবারও এই বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।বুধবার নন্দন ৩ পেক্ষাগৃহে বিশ্ব প্রবীণ নিগ্রহ সচেতনতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা,মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন লিনা গঙ্গোপাধ্যায়,কলকাতার পুরসভার মেয়র পরিষদ মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা।
এই আলোচনা সভায় মূলত এমডাব্লুপিএসসি আইন এর বিষয়ে জানানো হয়।কিভাবে পূর্নবয়স্ক সন্তান তার বাবা-মা এর ভরন পোষনের আর্থিক দায়িত্ব নিতে দায়বদ্ধ।কিভাবে এই আইনের সুবিধা সাধারণ মানুষ পেতে পারেন,সেই বিষয়ে মূলত প্রবীণদের জানানো হয়।আবার অনেক সচেতনতার কথাও বলা হয়।
তাছাড়াও প্রস্তাব দেওয়া হয়,একাকী প্রবীণদের পাশে দাঁড়াতে হবে নতুন প্রজন্মকে।সমাজকল্যাণ দফতর সেই তরুণ প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ দেবে।কী ভাবে বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানো যায়, তাঁদের ন্যূনতম শারীরিক পরীক্ষা কী ভাবে করতে হয়।অচেনা আয়া সেন্টার থেকে কর্মী নিয়োগ না করে সরকারি নথিভুক্ত এই প্রশিক্ষিত ছেলেমেয়েকে বাবা-মায়ের দেখাশোনার কাজে নিযুক্ত করলে সন্তানেরাও অনেকটা নিশ্চিত থাকবেন।তাছাড়াও শুধু শারীরিক নয় তাঁদের মানসিক যত্ন নেওয়াও প্রয়োজন।