Last Updated on September 9, 2020 4:23 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন: ব্রিটেনে অক্সফোর্ড অস্ট্রেজেনেকা তৃতীয় ও শেষ দফার ট্রায়াল বড়ো ধাক্কা খেল। এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরে মারাত্মক পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে একজনের দেহে,যার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। সেই বেক্তির দেহে এই ভ্যাকসিনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ফল জানা মাত্র এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এই সংক্রান্ত সমস্ত সংবাদ চূড়ান্ত গোপনীয়তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে যাতে কোনও রকম তথ্য ও সংবাদ পরিবেশন না করা হয়, সে বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করেছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যে বেক্তির ওপর এই ভ্যাকসিন কাজ করে নি, উল্টে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তিনি এই মুহূর্তে বেশ সঙ্কটজনক। তাঁর দ্রুত চিকিৎসা চলছে, আর একই সঙ্গে ওই ব্যক্তির প্লাজমা নিয়ে গবেষকরা চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছেন। প্রাণদায়ী প্রতিষেধক যদি প্রাণঘাতী হয়ে যায়, তার চেয়ে ভয়ঙ্কর কিছ হতে পারে না। এই ভ্যাকসিনের ওপর ভরসা করে আছে ভারত সহ অন্তত ২৫ টি দেশ। ভারতে সিরাম ইনস্টিটিউট ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে শেষ দফার ট্র্যযাল চালাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা তেও চলছে মানুষের ওপর প্রয়োগ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২৫০ মিলিয়ন ডোজের অর্ডার করে রেখেছে, হুর তরফেও ৩০০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন চেয়ে রাখা হয়েছে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য। এমত অবস্থায় ভ্যাকসিনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় সবাই আতঙ্কিত। তবে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গবেষণার গবেষক ড ম্যাথু বয়কট জানিয়েছেন, ভয় পাওয়া কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও বিষয় নয়। এভাবেই সব ভ্যাকসিন পরীক্ষিত হয়। সাধারণ মানুষ জানেন না বা খেয়াল রাখতেন না। সামান্য এস্পিরিন প্রয়োগেও মৃত্যর ঘটনা হয়েছে। কিন্তু তবু তা আমরা ব্যবহার করছি। কিন্তু ওই ঘটনা কেউই খোঁজ রাখেনি। এই ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাওয়ার পর ব্রাজিলে ১০ হাজার আক্রান্তের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রতিটা মানুষের শরীর এক নয়, একজন মানুষ এমন হতেই পারেন যার শরীর এই ভাসিসিনকে রিফিউজ করছে। সব প্যারাসিটামল কি সবাই খেতে পারে, বা সবার সমান কাজ হয় ? তবুও কমন ফ্যাক্টর ধরেই একটা দেহ সূচকের মাপকাঠিতে ওষুধ তৈরি হয়। যাতে ৯৯ শতাংশ মানুষের তা কাজ দেয়। আমরা গবেষণা করেছি, দেখছি কি প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তার পরেই বলা সম্ভব।