৩৬৫ দিন। জুনের শেষেই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ হাজার পেরিয়ে দেড় হাজারের পথে। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ১,৪২৪ জন। মৃত দুই। বিজ্ঞানীরা আগেই পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছিলেন, জুনেই দেশে শুরু হবে চতুর্থ ঢেউ। এক গাণিতিক মডেল প্রকাশ করেন তাঁরা। কার্যত, সেই গাণিতিক মডেলের সূত্র মিলিয়ে দিয়েই জুনে শুরুতে রাজ্যে সংক্রমণ হার ১ শতাংশের নিচে থাকলেও শেষের দিকে সেই সংক্রমণ হার পৌঁছে গেল ১২.৭৪ শতাংশে। ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ।
কিন্তু, কেন? নতুন কোন স্ট্রেন কি এর জন্যে দায়ী? নাকি জনগণের যথেচ্ছ অবাধ আচরণ? গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, জুনে আসতে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ। যেটা চলবে অক্টোবর পর্যন্ত। যদিও, কতটা প্রভাব ফেলবে কিংবা ক্ষতিকর হবে এই ঢেউ, সেটা নির্ভর করছে নতুন স্ট্রেন উপর। তবে, কি নতুন এই স্ট্রেনই কারণ হতে পারে চতুর্থ ঢেউয়ের? তেমনই আশঙ্কা একাংশ গবেষকের।
যদিও, চতুর্থ ঢেউ নির্ভরশীল টিকা এবং বুস্টার ডোজের নেওয়ার উপরও। এই ঢেউ চার মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে সর্বোচ্চ শিখর ছুঁতে পারে।
এই নিয়ে ন্যাশনাল আইএমএ কভিড টাস্ক ফোর্সের কো-চেয়ারম্যান ড. রাজীব জয়দেবন জানান, এই ভাইরাস থাকবে আরও কয়েক বছর। কখনও সংক্রমণ বাড়বে আবার কখনও সংক্রমণ কমবে। এইভাবেই চলবে। নতুন স্ট্রেন এলে হঠাৎ করে একধাক্কায় বেড়ে যাবে সংক্রমণ। কিন্তু, নতুন ঢেউ ঠিক কখন আসবে সেটা বলা সম্ভব নয়।
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫৪ জন। মৃত শূন্য।পজেটিভিটি রেট, ৯.৯২ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯৪ জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা, ৪ হাজার ৭৫৯ জন। এর আগের দিন, ২৭ তারিখ রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫১ জন। অর্থাৎ, একদিনেই দ্বিগুণ হয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই বলা যায়, দ্বিগুণ গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ।