১৮ উর্দ্ধে এবার ৯ মাসের পরিবর্তে ৬ মাসেই বুস্টার ডোজ

0

৩৬৫ দিন। এবার ৯ মাসের পরিবর্তে ৬ মাসেই মিলবে বুস্টার ডোজ। দুই ডোজের মাঝের ব্যবধান কমাল কেন্দ্র। ১৮ উর্দ্ধে সকলের জন্যেই এই নিয়ম প্রযোজ্য থাকছে। এখন ৬ মাস অর্থাৎ, ২৬ সপ্তাহেই নেওয়া যাবে বুস্টার ডোজ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান, ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী সকলেই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পর বেসরকারি টিকা কেন্দ্র থেকে নিতে পারবেন বুস্টার ডোজ।

অন্যদিকে, ৬০ উর্দ্ধে, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা সকলেই ৬ মাস পর সরকারি টিকা কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে টিকা নিতে পারবেন। কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রকে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যে বুস্টার ডোজের ব্যবধান নয় মাস থেকে কমিয়ে ছয় মাস করার সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। কেন্দ্র গত ৮ এপ্রিল ঘোষণা করে, ১০ এপ্রিল থেকে ১৮ উর্দ্ধে সকলেই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, এতদিন কোভ্যাকসিন এবং কভিশিল্ড দিয়েই চলছিল বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া। এবার, ভিন্নধর্মী কিংবা মিশ্র ভ্যাকসিনেও অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই। অর্থাৎ, প্রথম দুটি ডোজ কোভ্যাকসিন অথবা কভিশিল্ড হলেও তৃতীয় ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কর্বেভ্যাক্স। অন্যদিকে, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় নির্দেশিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

নির্দেশিকায় মাস্ক পরার উপরে জোর দেওয়ার পাশাপাশি বুস্টার ডোজ নেওয়ার উপরও নজরদারি চালানো হয়। প্রত্যেকের প্রাথমিক টিকাকরণ জরুরি থেকে শুরু করে বুস্টার ডোজ, সবটাই করতে হবে। সরকারকে প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে টিকাকরণের কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে হবে। প্রবীণ নাগরিক, কো-মর্বিডিটি সম্পন্ন ব্যক্তি, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা, সকলকেই টিকার তিনটি ডোজই নিতে হবে। ভিড় জায়গা, গণপরিবহণ, বাজার, শপিং মল আগের মতন স্যানিটাইজ করতে হবে ৷

মাঝে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রবণতা কমতে থাকে। কিছু হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের উপরে সমীক্ষা চালান হয়। সেখান থেকেই দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ রোগীই বুস্টার ডোজ নেননি। ফলে, শরীরে অনেকটাই কমে গিয়েছে অ্যান্টিবডি পরিমাণ।

যার ফলে, ভাইরাস থেকে রেহাই পাচ্ছেন না মানুষ। দেখা যাচ্ছে, কিছু ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষই বুস্টার ডোজ নেননি। কিছু ক্ষেত্রে অনেকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্যে প্রস্তুত নন। অর্থাৎ ৯ মাস হয়নি। তার আগেই আক্রান্ত হচ্ছেন।

এই প্রসঙ্গে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ৮০ শতাংশ বুস্টার ডোজ নেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here