৩৬৫ দিন। সংক্রমনের পরিবর্তনশীল গ্রাফের দিকে নজর রেখে প্রস্তুতি সারছে শহরের বাজারগুলি। শক্তপোক্ত করা হচ্ছে শিথিল করোনা বিধিকে। মাস্ক, শারীরিক দূরত্ব, হাত জীবাণুমুক্ত করা আবারও ফিরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। এতদিন এই নিয়ম থাকলেও ছিল কেবল নামমাত্র। ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে সংক্রমণ গ্রাফ। সেখান থেকেই এই উদ্যোগ। বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে, খুচরো এবং পাইকারি উভয় ধরনের বাজারেই ভিড়ের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি।
একইসঙ্গে সংক্রমনের ঝুঁকিও বেশি। তাই কোনভাবেই ঢিলেমি নয়। নতুন করে করোনা বিধির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কোলে মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে জানান, আগে থেকেই নিয়ম ছিল। কিন্তু, মাঝে করোনা কমে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে অসচেতনতা বেড়েছিল। এখন আবার যেহেতু সংক্রমণ বাড়ছে তাই আবার নিয়ম মেনে চলতে বলা হচ্ছে। একইসঙ্গে হগ মার্কেট থেকে শুরু করে মানিকতলা মার্কেটে জোর দেওয়া হচ্ছে করোনা বিধি মানায়।
এক ক্রেতা জানাচ্ছেন, মাস্ক ত পরতেই হয়। তবে, শারীরিক দূরত্ব মানা সবসময় সম্ভব হচ্ছে না। অনেকেই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে জিনিসপত্র কিনছেন। কিছু বলার উপায় নেই। বিক্রেতা পলাশ কর জানান, স্যানিটাইজার টানেল তো আছেই। তবে, তার ব্যবহার কম। বাজারে মাস্ক পরেন বেশিরভাগই। শুধুমাত্র নতুন করে নজরদারি আরও জোরদার করা হচ্ছে। এদিকে, রাজ্যে দুই থেকে তিন সংখ্যায় পৌঁছে গিয়েছে করোনা গ্রাফ। তিন মাসের বেশি সময় ধরেই একশোর নীচে ছিল আক্রান্তের সংখ্যা।
কিন্তু, গত দুদিনে সেই সংখ্যা একশো ছড়িয়েছে। বেড়েছে সংক্রমনের হার। একইসঙ্গে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে। মুম্বই, কেরল সহ বেশ কিছু রাজ্যেকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। অন্যদিকে, মাস খানেক আগে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিশেষ সমীক্ষা চালায় স্বাস্থ্য দফতর।
সমীক্ষায় দেখা যায়, রাজ্যে বেশিরভাগ জেলায় সংক্রমণ হার শূন্য। কলকাতা এবং দু একটি জেলায় মিলেছিল আক্রান্তের। তবে, তা নেহাতই নগণ্য। কিন্তু বর্তমানের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের দিকে নজর রেখে আগেই প্রস্তুতি সেরেছে শহরের বেসরকারি হাসপাতালের একাংশ।