আবারও চিন্তা সেই ফুসফুসেই, শুধুই বিএ.৫ ? নাকি নেপথ্যে অন্য কোন স্ট্রেন? সংকটাপন্ন করোনা রোগীদের আরও বেশি করে জিনোম সিকোয়েন্স

0

৩৬৫ দিন। আবারও চিন্তা সেই ফুসফুসেই। কিন্তু, এর জন্যে দায়ী কি শুধুই বিএ.৫ ? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোন আগন্তুক স্ট্রেন? স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সেই খোঁজ রাখতেই হাসপাতালে ভর্তি সংকটাপন্ন করোনা রোগীদের আরও বেশি করে জিনোম সিকোয়েন্স করা হতে পারে। জিনোম সিকোয়েন্স করে দেখা গিয়েছে, ওমিক্রনের বিএ.৫ ভ্যারিয়েন্টই মুখ্য ভূমিকা নিচ্ছে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে। এর সঙ্গে রয়েছে বিএ.৪ সাব ভ্যারিয়েন্ট।

কিন্তু, এই দুই ভ্যারিয়েন্টকে সঙ্গ দিচ্ছে নতুন কোন স্ট্রেন? সেই উত্তর জানতেই এই ব্যবস্থা। ঝুঁকি বাড়ছে কোমর্বিডিটি রোগীদের। এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ মৃদু। তবে, করোনা রোগীদের ভিড় বাড়ছে শহরের হাসপাতালে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ বেশ মৃদু এবং মৃত্যু হার কম। কিন্তু, দিন দুয়েক আগেই রাজ্যে পর পর দুদিন রাজ্যে মৃত্যু হয় ৬ জনের।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রয়েছে ফুসফুসের সংক্রমণ। এছাড়া, কোমর্বিডিটিও একরকম কারণ। তাই বিষয়টি আরও নিশ্চিত করার জন্যে আরও বেশি নমুনা বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আগে সংকটজনক রোগীর সংখ্যা ছিল অনেক কম। এখন আবার ধীরে ধীরে বাড়ছে। একমাসেই বদলেছে গ্রাফ।

এক সাম্প্রতিক জিনোম সিকোয়েন্স এর ফলাফলে দেখা গিয়েছে, এই সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ, ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট। বিএ২ এর জায়গা নিতে শুরু করেছে বিএ৪, বিএ৫। যার (বিএ২) কারণে চলতি বছরের শুরুর দিকে বাড়তে শুরু করেছিল করোনা গ্রাফ। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, রাজ্যে পজেটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করা হচ্ছে। ওমিক্রণ প্রজাতির সাব ভ্যারিয়েন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে বিএ৪, বিএ৫।

কিন্তু, এখনই চিন্তার কোন কারন নেই। কারণ, বিএ৫ ভ্যারিয়েন্ট দারুন ভাবে সংক্রমক ঠিকই। কিন্তু, এর মারণ ক্ষমতা কিছুটা কম। তাই যাদের কোমর্বিডিটি নেই, তাদের চিন্তার বিশেষ কারণ নেই। দেখা যাচ্ছে, ধীরে ধীরে বিএ২ ভ্যারিয়েন্ট জায়গার আসছে বিএ৫।

একাংশ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বেশিরভাগটাই বিএ৫, যে কারণে বাড়ছে সংক্রমণ। চিকিৎসক রাজীব কর জানান, টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। একইসঙ্গে পরতে হবে মাস্ক। সংক্রমণ থেকে বাঁচার এটাই প্রাথমিক উপায়। জিনোম সিকোয়েন্স করার জন্যে নমুনা পাঠানো হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিকাল কল্যাণীতে। সেখানেই দেখা যায়, বিএ৫ এর সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু বিএ৪ এর অস্তিত্বও পাওয়া গিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here