৩৬৫ দিন। দুই থেকে তিন সংখ্যা, এবার চারের পথে রাজ্যের সূচক। দেশের ক্ষেত্রেও ছবিটা এক। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৫ জন। মৃত শূন্য। সুস্থ হয়ে উঠছেন ১৭১ জন। রাজ্যে সংক্রমণ হার ৭.৩০ শতাংশ। গত বুধবার মৃত্যু হয়েছে দুজনের। একইসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শেষ খবর অনুযায়ী, ৯৬ ভর্তি। মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ২০ জন। বাড়িতে গৃহবন্দী রয়েছেন ২ হাজার ৯২৪ জন।
এদিকে, দু হাজার, তিন হাজারের থেকে দশ হাজার। এবার সেই গণ্ডি পেরিয়ে দেশে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা পনেরো হাজারের পথে। বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩১৩ জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮৩ হাজার ৯৯০ জন। মৃতের সংখ্যা ৩৮ জন।
প্রশ্ন একটাই, তাহলে কি শুরু চতুর্থ ঢেউ? চতুর্থ ঢেউয়ের কেন্দ্রস্থল হিসেবেই চিহ্নিত করা হবে এই শহরকে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এখনই কারণ স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। সাবধান থাকতে হবে। নতুন কোন স্ট্রেনের থেকেও বাড়তে পারে। আদৌ কি কারণ, সেটি জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন। কিছুদিন আগে এরকমই এক অবস্থায় তাঁরা জানিয়েছিলেন, সম্ভবত চতুর্থ ঢেউয়ের শুরু নয়। কারণ, এখন যে স্ট্রেনটি ছড়িয়েছে সেটি ওমিক্রণ।
যার কারণে শহরে জানুয়ারি মাসে প্রতিদিন আক্রান্ত ২০ হাজার পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। তাই, একই স্ট্রেন থেকে দ্বিতীয়বার সংক্রমণ একটু অস্বাভাবিক। কিন্তু, করোনাবিধি নিয়ে কোন অসতর্কতা না। এখন করোনা দেশ থেকে বিদায় নেয়নি। তাই, সমস্ত বিধি মেনে চলতে হবে। চলতি বছরে এপ্রিল মাসে দিল্লিতে একই ধরনের ট্রেন্ড দেখা গিয়েছিল।