Last Updated on September 13, 2022 10:33 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। পটুয়া পাড়ার প্রতিমার ভিড়ে নজর কাড়ছে ছোট-দুর্গা। চাহিদা বাড়ল কয়েকগুণ। প্রতিবারই চাহিদা থাকে অল্প বিস্তর। তবে, এবারে সেই সংখ্যা একধাক্কায় বেড়েছে অনেকটাই। এমনই জানাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। প্রতিমা শিল্পী বঙ্কিম পাল জানান, ১ থেকে দেড় ফুটের দুর্গা মূর্তি সাধারণত। আগেও বানিয়েছি। তবে, সেই সময় চাহিদা তেমন ছিল না। এই বছরে তিনগুণ বেড়েছে অর্ডার।

তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র দুর্গা প্রতিমাই নয়। লক্ষ্মী, বিশ্বকর্মা থেকে শুরু করে অন্যান্য দেব দেবীর ছোট মূর্তির প্রতি মানুষের আকর্ষন বাড়ছে। ধীরে ধীরে বেড়েছে অর্ডার। শিল্পী বলেন, দেশেই নয়। বিদেশেও এই ছোট মূর্তি অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিছুদিন আগেই কুমারটুলি থেকে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছে লক্ষ্মী প্রতিমা। মূর্তির উচ্চতা ২ ফুটের কাছাকাছি। ডাকের সাজে সজ্জিত দেবী। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই যুক্ত এই পেশার সঙ্গে যুক্ত শিল্পী বঙ্কিম পাল।

মূলত, ছোট আকারের প্রতিমা গড়ার জন্যে বিখ্যাত। এদিকে, মাতৃ বন্দনায় বাকি আর কয়েকটা দিন। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। চলছে উত্তর বনাম দক্ষিণের লড়াই।চূড়ান্ত ব্যস্ততা কুমারটুলিতেও। কাঠামো প্রলেপের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এবার শুরু হয়েছে মাটির মূর্তিতে রং-তুলি পর্ব। তবে, এর মাঝেই চিন্তা ধরাচ্ছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির ফলে ব্যাহত হতে পারে কাজ।
অন্ধকার দশা কাটিয়ে দুবছর পর রুপোলি রেখা দেখছে কুমোরটুলি।বেড়েছে বায়না। আর, তাতেই দিনযাপনের হাসি মৃৎশিল্পীদের মুখে। এই প্রসঙ্গে কুমারটুলি মৃৎশিল্প সাংস্কৃতিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক রণজিৎ সরকার জানান, রথের দিন থেকে বায়না আসা শুরু হয়। এবারে, বায়নার হার কিছুটা কম। তবে, গত দু বছরের তুলনায় কিছুটা ভাল। তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালে অর্ডার এসেছিল ৪ হাজারের বেশি। ২০২০ সালে সেই সংখ্যাটা পৌঁছায় ৫০০ থেকে ১০০০ এ। ২০২১ সালে একটু বেড়ে ১৫০০-২০০০। ২০২২ সালে অর্থাৎ, এই বছর এখনও পর্যন্ত ২৫০০-৩০০০ প্রতিমার বায়না এসেছে।