Last Updated on September 13, 2022 10:43 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। মহালয়ার বাকি সপ্তাহ দুই! তার আগেই পুরোনো রেডিও ঘষে মেজে নিতে ব্যস্ত শহরবাসী। কারণ, আজও মহালয়ার সকালে সেকেলে রেডিওতে অভ্যস্ত একাংশ। যদিও, রেডিওর সীমানা পেরিয়ে এখন অসময়েও হাতের নাগালে মেলে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র। তবে, পুরোনো ঐতিহ্য আঁকড়ে বাঙালি। সেই প্রমাণই দিচ্ছে রেডিও রেপেয়ারিং শপগুলি। সারা বছর এই সব দোকানে মানুষের আনাগোনা নেহাতই হাতেগোনা। কিন্তু, মহালয়ার টানে এই সময়টা চূড়ান্ত ব্যস্ততায় কাটায় দোকানিরা।
এই প্রসঙ্গে কুমারটুলির এক রেডিও রিপেয়ারিং শপের কর্তা ব্রজ বাবু জানান, সময় আধুনিক হয়েছে ঠিকই। কিন্তু, এখনও এই একটা দিনের জন্যেও মানুষ রেডিওর উপরেই ভরসা রাখেন। বহু পুরনো সেকেলে রেডিও সারানোর জন্যে মানুষ দিয়ে যান। প্রতিবারই তাই হয়। এবারেও সেরকম বেশ কিছু রেডিও এসেছে। যেগুলি বছরের এই একটা দিনেই বাজে। নিয়মিত রেডিও শোনার লোক এখন নেই বললেই চলে।

আরেক দোকানি জানান, এখন ফোনের মাধ্যমেই মানুষ রেডিও শুনে নেন। আলাদা করে কেউ আর কেনে না। ফলে, দোকানগুলো সারা বছরই মার খায়। কিন্তু, এই একটা সময়েই একটু লোকজন ভিড় জমান। ওপর এক দোকানি রামবাবু জানান, গত দু বছর তো কেউ আসেননি। করোনার ভয়ে। মানুষ ঘরের মধ্যেই আটকে ছিল। ফলে, লোকজন না আসায় খুব ক্ষতি হয়। এমনিতেই এই জিনিসটা এখন প্রায় অচল। সবমিলিয়ে, সমস্ত কুমারটুলি জুড়েই এখন পুজোর মরশুম। দ্রুত গতিতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
অন্যদিকে, দোকানে দোকানে চাঙ্গা ব্যবসা। দু বছর পর করোনার কালো সময় পেরিয়ে ব্যবসার লাল-খাতায় ফিরছে লাভের অঙ্ক। খুশি ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলেই। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কার্যত, উপচে পড়া ভিড়। এই প্রসঙ্গে গড়িয়াহাট মার্কেটের ব্যবসায়ী রাজকমল দে জানান, ২০২০ সালে বিক্রি প্রায় ছিল না। কারণ, পুজো প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০২১ সালে অল্প বিস্তর কেনাবেচা হলেও করোনার আগের সময়ের মত নয়।
কিন্তু, এবার তুলনামূলকভাবে চাঙ্গা ব্যবসা। বিক্রি আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। তবে, মনের মত জিনিসের দাম নিয়ে চলছে অনেকটাই দামাদামি। হাতিবাগান পুজোর কেনাকাটা করতে এসে ক্রেতা পূজা সরকার জানান, জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলক বেশি। ডিসকাউন্ট থাকলেও সেটাও নেহাত কম। তবে, দু বছর পর পুজোর আনন্দে সামিল হতে দরদাম করেই চলছে বেচাকেনা।