Last Updated on September 13, 2020 12:06 AM by Khabar365Din
পূষন গুপ্ত
১. মুখ্যমন্ত্রীর সাংবিধানিক প্রশ্ন তুলে রাজ্যপালকে চিঠির উত্তরে জেট গতিতে গতকাল রাতেই রাজ্যপালের পাঠানাে চিঠিটি পড়ার চেষ্টা করলাম। ওটিকে চিঠি না বলে হার্মাদদের খেউড় বলা ভালাে। আমার ধারণা এই ধরনের খিস্তি খেউড় পড়লে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও লজ্জা পাবেন। পরিকল্পনা মাফিকই দিল্লি থেকে পাঠানাে হয়েছে এই হার্মাদটিকে। যথেচ্ছাচার করাে, তাও বলে দেওয়া হয়েছে বােঝা যাচ্ছে। সেখানাে হয়েছে আর কিছু না পারাে নর্দমা থেকে কাদা তুলে সেটা ছোঁড়াে। অন্তত যদি বাংলার বাঘিনী শ্বেতশুভ্র শাড়িতে একটু-আধটু ছিটে লাগে! মুশকিল হল এই সম্পূর্ণ অশিক্ষিত হার্মাদটি পৃথিবীর ফ্যাসিবাদের ইতিহাস পড়েনি। পরিণতি এই যে, পরিশেষে নিজের মুখ কাদায় ডুবে যায়, জনগণের নেতা-নেত্রীকে লক্ষ চেষ্টা করেও কলুষিত করা যায় না।
২. চিঠিতে বােধহয় ২৫-২৬ টি পয়েন্ট লিখেছেন মনে হল। সবকটি পয়েন্টেরই একই বক্তব্য। মােদ্দা কথা হল, মমতা বাংলায় করােনা প্রতিরােধে ব্যর্থ (যা শুনলে কেন্দ্রীয় সরকারও মুচকি হেসে বলবে, বাহ! মালটি তাে সরেস)। মমতা রাস্তায় নেমে মানুষের কাছে গিয়ে আসলে নাটক করছেন, মানুষের কোনও উপকার হচ্ছে না। মানুষের কথা ভাবার দায়িত্ব কেবল ওঁর, পদ্মপালের। দিনরাত সেটাই ভেবে চলেছে। এইসব আটভাঁট লেখা ওই চিঠিতে।
৩. যবে থেকে উনি এসেছেন, তবে থেকে বাংলার সাংবাদিকদের মধ্যে কেবল আমি একটানা বলে যাচ্ছি, উনি শুধু ভাঁড় নন, পদ্মপালও বটে। বিজেপিকে রাজ্যে বাঁচিয়ে রাখার মহান দায়িত্ব। এখন কেবল ওঁর। কিন্তু মুশকিল হল যেটা কিছুতেই ওর মাথায় ঢােকানাে যাচ্ছে না, সেটা হল উনি শুধু সাংবিধানিক কর্তা নন, আলংকারিক কর্তা। কাকে আলংকারিক বলে তা বুঝতে হলে ওক সংবিধান পড়তে হবে। সেটা ওকে কে বােঝাবে?
৪. এতই যদি মমতার সঙ্গে প্রতিযােগিতা করার শখ তবে না, আমি রাস্তায় বেরােতে বলছি না। অত ধক্ আপনার নেই। বাংলার মানুষের জন্য যদি এত দরদ, তবে নিজের ওই বিলাসবহুল প্রাসাদটি ছেড়ে একটা ছােট ফ্ল্যাটে গিয়ে উঠুন। আর রাজভবনটা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানিয়ে দেওয়ার অর্ডার দিন। দেখি বুকে কত বড় দম।
** প্রস্তাব পরিকল্পনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এক সহকর্মীকে।
Bhalo laglo lekhat
Bhalo laglo lekhata