Last Updated on October 13, 2020 1:04 AM by Khabar365Din

কিছুনির্দিষ্ট সংবাদমাধ্যম যেভাবে বলিউডের অবমাননা করছে তার অবসান চেয়ে জোটবদ্ধ হয়েছে। গােটা বলিউড। আজ বলিউডের চার শিল্পী সংগঠন ও ৩৪ প্রযােজক সংস্থার পক্ষ থেকে দিল্লি হাইকোর্টে রিপাবলিক টিভি’র অর্ণব গােস্বামী, প্রদীপ ভান্ডারি এবং ‘টাইমস নাউ’-এর রাহুল শিবশঙ্কর, নবীকা কুমার ও সােশ্যাল মিডিয়ার অপরিচিতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে যাতে তারা বলিউড সম্পর্কে দায়িত্বজ্ঞানহীন, অবমাননাকর রিপাের্ট প্রকাশ না করে। বলিউড শিল্পীদের নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করে তাদের ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান জাননাে হােক। পাশাপাশি কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্করুল (১৯৯৪)-এর নিয়ম মতাে যেসব অপমানজনক বিষয় দেখানাে হয়েছে তা তুলে নেওয়ার আবেদন জানানাে হয়েছে। এই চ্যানেলগুলি বলিউড সম্পর্কে নােংরা’, ‘ক্লেদ, ‘আবর্জনা’‘নেশাখাের’ইত্যাদি কদর্য বিশেষণ ব্যবহার করেছে। তারা মন্তব্য অনুযায়ী, বলিউডের আবর্জনা সাফাই করা দরকার’, ‘বলিউডের অন্দরে জমে থাকা ময়লা থেকে যে দুর্গন্ধ বেরচ্ছে তা সুগন্ধী দিয়ে ঢাকা যাবে না’, ‘দেশের নােরা, জঘন্যতম শিল্প বলিউড’, ‘বলিউড কোকেন, এলএসডি-তে ডুবে আছে।
মুম্বইয়ের হিন্দি চলচ্চিত্রজগত এই অপমান মেনে নেবে না। বহু বছর ধরে মুম্বইয়ের এই বলিউড শিল্পই সরকারের কোষাগারে মােটা অংকের রাজস্ব দিয়ে আসছে। বিদেশে বলিউড সিনেমা মুক্তির মাধ্যমে মােটা বিদেশি অর্থ দেশে আসছে, পাশাপাশি পর্যটনেও বলিউডের অবদান রয়েছে। আর পাঁচটা শিল্পের সঙ্গে বলিউডের একটা বড় পার্থক্য রয়েছে, দর্শকদের গ্রহণযােগ্যতা ও গুডউইলের বড় প্রভাব রয়েছে এই শিল্পে। যারা বলিউড সম্পর্কেঅপপ্রচার করে চলেছেন তার জন্য বলিউডের সঙ্গে জড়িত শিল্পী ও কলাকুশলীদের রুটিরুজিতে প্রভাব পড়ছে। ইতিমধ্যেই অতিমারীর কারণে বলিউডের বিশাল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, কর্মসংস্থান বন্ধ হয়েছে। তার ওপরে বলিউডের শিল্পীদের ব্যক্তিগত জীবনে ক্রমাগত কাদা ছােড়া চলছে। বলিউডকে দেখ নিনা হচ্ছে দুষ্কৃতী, মাদক সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত কিছু মানুষের সমষ্টি হিসেবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও তারা বেশ কয়েকবার মিথ্যা, দায়িত্বজ্ঞান রিপাের্টিং ও অবমাননাকর বিষয় প্রকাশের অপরাধে আদালতের নির্দেশে শাস্তি পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় সুশান্ত সিং রাজপুতের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর পর এই সংবাদমাধ্যমগুলি এমন ভাব করতে শুরু করে যেন সিবিআই বেছে বেছে অপরাধীদের গ্রেফতার করছে। একাধিকবার তারা কেবল টিভি নেটওয়ার্করুলস ভেঙেছে। এই অভিযুক্তরা তাদের চ্যানেলে চ্যানেলে সমান্তরাল গােয়েন্দাগিরি করতে শুরু করে, তারা নিজেরাই আদালকের ভূমিকা নিয়ে নেয়। বিচারব্যবস্থাকে রসিকতায় পরিণত করে তারা নিজেরাই চ্যানেলে বসে প্রমাণ দিয়ে বলে দেয় বলিউডের কোন তারকা অপরাধী। আবেদনে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরােধ করার কথা বলা হয়নি, বরং অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে অসত্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন রিপাের্টিং-এর বিরুদ্ধে আদালত যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয় তার কথা বলা হয়েছে।