Last Updated on July 27, 2021 11:07 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। ইয়া, ওয়াটস আপ ডক? গাজর চিবোতে চিবোতে খুব তাচ্ছিল্যের সঙ্গে ঘাড় বেঁকিয়ে প্রশ্ন করাটা সেই সময় আমেরিকায় ফ্যাশন হয়ে গিয়েছিল, ইয়াঙ্কি স্টাইল। এমনই ছিল অ্যানিমেশন চরিত্র বাগস বানির জনপ্রিয়তার দাপট। ২৭ জুলাই ১৯৪০ মুক্তি পায় ওয়ার্নার ব্রস এর অনিমেশন মুভি আ ওয়াইল্ড হেয়ার। বাগস বানিকে প্রথম পর্দায় দেখল দর্শক। ফ্রেড অভেরির পরিচালনায় ও ভিরগাল রসের দুর্দান্ত শিল্পে পরিপূর্ণ মাত্র ৮ মিনিটের এই ফিল্ম প্রবল সাফল্য পায়। এরপর টানা ২৪ বছর এই কার্টুন চরিত্র ক্রমে আইকনিক একটি চরিত্রে পরিণত হয় বাগস বানি। তার ওভার স্মার্ট ব্যবহার, সবকিছুতে পরিস্থিতি নিজের হাতে নিয়ে নেওয়ার দক্ষতা, লোককে বোকা বানানোর কায়দা এবং যখনতখন যাকে তাকে নির্মল ভাবে হেনস্থা করে মজা করাটা ইয়াঙ্কি কায়দাটা ছেলেছোকরারা সেসময় আয়ত্ত করার চেষ্টা করত। বাগস বানি যে একটা বুনো খরগোশ অনেকে প্রায় সেটা ভুলেই যেত।

বাগস বানি যাদের নিয়ে মজা করত বেশি তাদের মধ্যে একজন এলমার ফাড। সে বেচারা মাঝে মাঝে বন্দুক হাতে খরগোশ শিকারে আসতো। নিরামিষাশী এলমার শিকার করাটা স্পোর্টস হিসেবে দেখত। আর, এলমারকে বাগস দেখত তার ইয়ার্কির শিকার হিসেবে। তাকে দেখামাত্র সে তার পিছনে লাগা শুরু করে দিত। আ ওয়াইল্ড হেয়ারে বাগস বানি একটা সময় এমন করতে লাগলো যে এলমারের ছোঁড়া বন্দুকের গুলি যেন তার বুকে এসে লেগেছে। বাগসের মরে যাওয়ার দৃশ্য দেখে এলমারের সে কি কান্না। বেচারা যখন হাপুস নয়নে কাঁদছে সেই সুযোগে বাগস তার পিছনে এসে কষিয়ে মারে লাথি। শেষপর্যন্ত প্রায় পাগলের মতো হাল বেচারা এলমারের। বাগস বানির সঙ্গে অত্যন্ত জনপ্রিয় চরিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে ডাফি ডাক, লোলা বানি, টুইটি, পর্কি পিগ, সিলভেস্টার, ইয়াসমিতে স্যাম, টাসমেইন ডেভিলরা। লিও স্কেলসিঙ্গারের এই সৃষ্টির গলা ছিল মেল ব্লার। ১৯৪০ সালে আ ওয়াইল্ড হেয়ার অস্কারের জন্য নমিনেটেড হয়।