Last Updated on March 18, 2023 9:24 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সালের ডিপ্লোমা কোর্সে পুনের ফিল্ম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ায় এডিটিং নিয়ে স্নাতক হয়েছিলেন সঞ্জয় লীলা বনশালী। ইনস্টিটিউট থেকে বেরিয়ে এসে বিধু বিনোদ চোপড়ার ‘পরিন্দা’ ছবিতে গানের সিকুয়েন্স গুলিকে শ্যুট করেছিলেন, এডিটও করেছিলেন। এরপর বিধু বিনোদ চোপড়া তাকে ‘করীব’ ছবিটি পরিচালনা করতে বললে নারাজ সঞ্জয় বিধু বিনোদের প্রোডাকশন হাউজ থেকে বেরিয়ে আসেন। নিজে পরিচালনা করেন ‘খামোশি দ্য মিউজিকাল’। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ন’টি উল্লেখযোগ্য হিন্দি ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি। সঞ্জয় তার সর্বশেষ বড়পর্দার পরিচালিত ছবি ‘গঙ্গুবাই কঠিয়াওয়াড়ি’ শেষ করার পর নেটফ্লিক্স এর জন্য ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্ডি’-র কাজের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গত দেড় বছর।

গত ১০০ দিনে তিনি ‘হীরামান্ডি’ ওয়েব সিরিজের চারটি এপিসোডের শুটিং শেষ করে ফেলেছেন। এই বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যেই তিনি হীরামান্ডি ওয়েব সিরিজের পুরো কাজ সম্পন্ন করে ফেলবেন বলে শোনা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও যা শোনা যাচ্ছে তা হল, আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে সঞ্জয় সালমান খানকে কাস্ট করে যে ‘ইনশাল্লাহ’ ছবিটি পরিকল্পনা করেছিলেন, সেই ছবিটির কাজ নতুন করে শুরু করতে চলেছেন তিনি। সেই ছবির জন্য মূল তারকা নির্বাচন চলছে ভেতরে ভেতরে। তার আগে পরে আরেকটি ছবির জন্য সঞ্জয় পরিকল্পনা করেছিলেন। তার নাম হল ‘বৈজু বাওরা’।এই ‘বৈজু বাওরা’-র প্রজেক্টের জন্য ‘পেইন স্টুডিও’ প্রযোজক হতে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনাও মাঝপথে থেমে গিয়েছিল। ‘বৈজু বাওরা’-র জন্য সঞ্জয় বনশালি মনে মনে নব্বই দশকের কোনও নামী ও সুপ্রতিষ্ঠিত বড় তারকাদের চেয়েছিলেন।
কিন্তু তাদের ডেট তিনি সময়মতো জোগাড় করে উঠতে পারেননি। আর ‘ইনশাল্লাহ’ ছবির জন্য সালমানের সঙ্গে আর্থিক চুক্তিতে মতভেদ হওয়ায় সেই যাত্রায় তিনি ওই চরিত্রের জন্য পরবর্তী অফার করেছিলেন হৃত্বিক রোশনকে। কিন্তু হৃতিক সেসময় আরও দুটি বড় প্রজেক্টের কাজে ব্যস্ত থাকায় সঞ্জয়ের এই অফারটি নিতে পারেননি। ইনশাল্লাহ-র কাজও আর এগোয়নি। কিন্তু ‘ইনশাল্লাহ’ ছবির প্রি- প্রোডাকশনে সঞ্জয় বনশালি বেশ মোটা অঙ্কের টাকা নিয়োগ করে ফেলেছিলেন। এখন শোনা যাচ্ছে, ‘হীরামান্ডি’-র কাজ শেষ করেই তিনি ‘ইনশাল্লাহ’ ছবির কাজ শুরু করবেন।