৩৬৫ দিন। আয় খুকু আয়, দেখে যাঁরা ভাবছেন, প্রসেনজিৎ নিজেকে নিয়ে কতটা একক্সপেরিমেন্ট করছেন, তারা বাংলা চলচ্চিত্র ও গত ৪০ বছরে যিনি এই ইন্ডাস্ট্রকে কাঁধে তুলে ছুটছেন,তাঁকে অনুসরণ করেননি। মহানায়ক থেকে মহা অভিনেতা হয়ে ওঠার নতুন যাত্রা আজ থেকে নয়, দেড় দশক আগেই শুরু করেছেন তিনি। মনের মানুষ, চলো পাল্টাই, সৃজিতের অটোগ্রাফ, ঋতুপর্ণর নৌকাডুবি, চোখের বালি, কেবল জাতীয় পুরস্কার নয়, বাংলা চলচ্চিত্রের এক নতুন দিক উন্মোচন করে দিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ।

বাইশে শ্রাবণ থেকে জাতিশ্বর, গৌতম ঘোষের শঙ্খচিল থেকে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের কিশোর কুমার জুনিয়র, জেষ্ঠপুত্র থেকে গুমনামি এই যাত্রা ও অবলীলায় গ্রাম ও শহর। দুই দর্শককুলকে এক ছাতার তলে নিয়ে এসেছে। হয়ত সময় লেগেছে ২০ বছর। কিন্তু বাংলা চলচিত্রকে একা তিনিই নতুন সিনেমার ইন্ধন জুগিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন। জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে গ্রাম বাংলার পোসেনজিত কিন্তু আল্টিমেটলি সব দর্শককে স্ট্রিম লাইনে এনে ফেলেছেন। আজ ক্ষত কিংবা ময়ূরাক্ষীর মত ছবি গ্রাম বাংলাতেও মুক্তি পেতে ভয় পায় না। কারণ প্রসেনজিৎ এই ৩৫ বছরে সাগরকে (অমর প্রেম) কুশল হাজরা হয়ে টেকো নির্মলে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন।