Last Updated on May 8, 2023 12:54 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। বারান্দায় মেঝেতে আসন লম্বা করে বিছিয়ে তার সামনে কলাপাতা ঘিরে মাটির খুরিতে করে সাজানো হত, কাঁচা ইলিশের ঝোল, চিতল মাছ, চালতা দিয়ে মুগের ডাল, নারকেল চিংড়ি, মাছের পোলাও, আম দিয়ে শোল মাছ এবং আরও নানান সুস্বাদু খাবার। ইতিহাস ঘেঁটে ঠাকুর বাড়ির রান্না বান্নার এরূপ ছবি উঠে আসে মাঝেমধ্যেই। এবার, সেই ঠাকুরবাড়ির ধাঁচের রকমারি পদ নিয়ে হাজির জোড়াসাঁকো। উত্তর কলকাতা মানেই ছিল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। এবার, দক্ষিণ কলকাতাতেও মানুষ পাবেন জোড়াসাঁকো। এককথায়, খাবারকে সূত্র করে দক্ষিণেও মানুষ পেয়ে যাবেন জোড়াসাঁকোর সন্ধান। এখানেই কবিগুরুর জন্মদিন উপলক্ষে নিয়ে আসা হল স্পেশাল মেনু। ৬ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত চলবে ২৫ বৈশাখ স্পেশাল মেনু। যেখানে থাকছে ঠাকুরবাড়ি স্পেশাল চাপর ঘন্ট। ডালের বড়া বানিয়ে গ্রেভির দিয়ে তৈরি করা হয় এই পদ।

পোস্ত দিয়ে চিংড়ি মাছ, চিংড়ি মালাইকারি, পাঁঠার বাংলা, সর্ষে মাটন, রসগোল্লা, সন্দেশ সহ মোট ১৭ রকমের মেনু। মূলত, বাঙালি খাবার, বহু পুরনো সব খাবারকে নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন করা এর মূল উদ্দেশ্য। রেস্তোরাঁর তরফ থেকে এক কর্তা বুবাই চন্দ বলেন, জোড়াসাঁকো নাম কারণ, বাঙালি তথা ভোজনরসিকদের সঙ্গে খাবারের মেলবন্ধন করানো। সেখান থেকেই তৈরি হল একটি সেতু বা ব্রিজ। সেটাকেই বলা হচ্ছে জোড়াসাঁকো। বাঙালি এবং খাবার দাবার। তিনি আরও বলেন, মোট ৩ জন পার্টনার রয়েছে। এই তিনজনের মধ্যে একজনের ক্লাউড কিচেন ছিল। সেখান থেকে রেস্তোরাঁ খোলার ভাবনা। বাঙালি রেস্তোরাঁ। ২০২৩ সালের ৫ মার্চ থেকে এর উদ্বোধন হয়।

২৫ বৈশাখ স্পেশাল মেনু ছাড়াও রয়েছে ১৩০ টি পদ। রয়েছে ৩৬৫ দিন, বুফে ১২-৪ টা পর্যন্ত। ১৮-১৯ রকমের আইটেম থাকছে বুফেতে। গন্ধরাজ ঘোল থেকে শুরু করে ছানার কাটলেট, মোচা ফিংগার, আম কাসুন্দি চিকেন, ভেটকি ফিশ কাটলেট, করাইশুন্টির কচুরি, বাসন্তী পোলাও, সাদা ভাত, ভাজা মসলার আলুর দম, ফুলকপির রোস্ট, ইচোর কারি, চিংড়ি মালাইকারি, পাবদা সর্ষে, কাঁচা লঙ্কা মুরগি, ঢাকাই পোড়া কষা মাংস, আমের চাটনি, পাঁপড়, ছানার পায়েস, বেকড রসগোল্লা। এছাড়া বাচ্চাদের জন্যে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।

সাধারণ সময়ে, দিনভর থাকে ব্যবস্থা। জন্মদিন, পার্টি, সহ নানা অনুষ্ঠানে রেস্তোরায় বুকিং করার ব্যবস্থা থাকছে। ২৫ বৈশাখ স্পেশাল মেনুতে থাকছে চিংড়ি পোলাও, লুচি, ইলিশ মাছ ভাজা, মাছের রোস্ট, প্রওন কাটলেট, চাপড় ঘন্ট, চিংড়ি মালাইকারি, পোস্ট চিংড়ি, ভাপা ইলিশ, চিতল পেটির কালিয়া, পাঁঠার বাংলা, জোড়াসাঁকো স্পেশাল চিকেন, সর্ষে মাংস, মৈরলা মাছের অম্বল, সন্দেশ, মালপোয়া, রসগোল্লা।রবীন্দ্রনাথের জীবনের টুকরো অংশ নিয়েই সাজানো হয়েছে রেস্তোরাঁটি। ঠাকুর বাড়ি এবং কবিগুরুর জীবনের অংশ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেওয়াল জুড়ে।