নিরাপদ ঘেরাটোপে বাইরে আবার সাহসী ঝুঁকি নিলেন প্রসেনজিৎ তিনি একাই টানলেন

0

৩৬৫ দিন। সিনেমা রিভিউ আয় খুকু আয় পরিচালনা সৌভিক কুণ্ডু অভিনয় প্রসেনজিৎ, দিতিপ্রিয়া রেটিং ৮/১০ এই সিনেমায় চারটে প্রসেনজিৎ আছে। এক, নকল প্রসেনজিৎ বা টেকো প্রসেন। দুই, পিতা প্রসেনজিৎ‍ নির্মল। তিন, সুপারস্টার প্রসেনজিৎ। এবং চার, বাংলা সিনেমা নিয়ে এক্সপেরিমেন্টকরেন এমন মানুষ প্রসেনজিৎ। বাংলা সিনেমায় এমন মারাত্মক এক্সপেরিমেন্ট এই মুহূর্তে একমাত্র তাঁর পক্ষেই করা সম্ভব।

বাংলা সিনেমার ন্যুমেরো উনো বা যাকে বলে এক নম্বর তারকা, তাঁর পক্ষে এই ঝুঁকি নেওয়া কতটা উচিত সে প্রশ্ন অবান্তর। এই মুহূর্তে যখন বাকি সবাই থোর-বড়ি আর খাড়ার নানা কমবিনেশনের নিরাপদ ঘেরাটোপের মধ্যে থেকে বাংলা সিনেমার নকল বুঁদির গড় রক্ষা করার ফেক লড়াই চালাচ্ছেন, তখন এক জনকে না একজনকে আসল লড়াই লড়তেই হয়। এতে যদি ঝুঁকি থাকে থাকুক। এমন ঝুঁকি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বহুবার অতীতে নিয়েছেন। কেউ পাশে এগিয়ে আসেননি তাঁর কোনও লড়াইয়েই। তবু তিনি হতোদ্যম হননি কখনও। তিনি বিশ্বাস করেন এক্সপেরিমেন্ট বন্ধ গেলে সিনেমা হয়ে অচল।সিনেমাকে বহমান করে রাখতে পরীক্ষার প্রয়োজন এই তত্ত্বে তাঁর অগাধ আস্থা। আর সে কারণেই এই ছবি।

বাবা-মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে আয় খুকু আয়

সন্তান আর পিতার সম্পর্ক এবং সেই সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে কাজ আগেও তিনি করেছেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার কখনওই তিনি একরকম করেন নি। এই ছবিতে তিনি এক মা মরা মেয়ের (বুড়ি/দিতিপ্রিয়া) পিতা মেয়েকে আদরে এবং শাসনে এক অনবদ্য পিতার রূপকল্প নির্মাণ করেছেন তিনি। এই বাবার নাম নির্মল। নির্মল তরুণ বয়সে রূপোলি পর্দার নায়ক প্রসেনজিৎ-এর মতো দেখ তে ছিল। সেই কারণেই মফসসল শহরের মাচায় সে নকল প্রসেনজিৎ সেজে সিনেমার গান আর ডায়লগ বলে মনোরঞ্জন করে সংসার চালায়।

কিন্তু সংসারের চাপে তার শরীর গিয়েছে ভেঙে, চুল উঠে টাক পড়ে গিয়েছে মাথায়। লোকে ঠাট্টা করে বলে টেকো প্রসেন। নিজেকে নিয়ে এমন রসিকতা করতে গেলে বুকের পাটা লাগে। সেই পাটা প্রসেনজিতের আছে।

ছবির গল্পে সুপারস্টার প্রসেনজিৎ আছে প্রকৃত অর্থে পরিত্রাতা হিসেবে। যাকে আমরা বলি রিয়েল হিরো। সে পরিত্রাণ করছে নকল প্রসেনজিৎকে। টেকো প্রসেনকে। আত্মহননের পথ বেছে নিয়ে তার মেয়ে তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। এই পরিত্রাণ এক অর্থে প্রতীকী। আসলে তিনি উদ্ধার করলেন বাংলা সিনেমাকে।

প্রসেনজিৎ কেমন অভিনয় করেছেন সেটা বলা বাহুল্য মাত্র। কিন্তু অবশ্যই উল্লেখ করা প্রয়োজন দিতিপ্রিয়ার অভিনয় নিয়ে। প্রসেনজিতের পাশে তিনিও উজ্জ্বল। ছবিতে বেশ কিছু অশ্লীল শব্দ ব্যবহার হয়েছে সংলাপে যার একেবারেই প্রয়োজন ছিলনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here