Last Updated on March 12, 2023 6:51 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। ৭ মুম্বইয়ের জুহুতে জাভেদ আখতারদের সঙ্গে কয়ফি আজমির জানকী কুটির বাড়ির উঠোনে হোলি খেলার পর ৮ মার্চ সকালে দিল্লি রওনা দিয়েছিলেন সতীশ কৌশিক। ওইদিন সন্ধ্যেবেলায় দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লিতে কুবের গ্রুপ সংস্থার মালিক বিকাশ মালুর ফার্ম হাউসে একটি বিশেষ অলি পার্টিতে অংশ নেন সতীশ। সাদা কুর্তা পাজামায় সতীশকে সেই পার্টিতে গানের সঙ্গে পা মিলিয়ে নাচতেও দেখা গিয়েছিল। তারপর একটু বেশি রাতেই ছন্দপতন। রাত সাড়ে নটায় ডিনার করার পর নিজের ঘরে শুতে যান সতীশ কৌশিক। ঘন্টা দুয়েক পরেই তিনি অস্বস্তি অনুভব করতে থাকেন এবং ম্যানেজার সন্তোষ রাইকে সেই অস্বস্তির কথা জানান। কাছের গুরগাঁওয়ের ফর্টিস হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাত বারোটার পর ৬৬ বছরের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সতীশ কৌশিকের মৃত্যু হয় হার্ট অ্যাটাকে।
শোনা যায়, এর পরেই বলিউডে সতীশ কৌশিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু অনুপম খেরের আবেদন মত দিল্লির ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা ঘটনার তদন্তের নেমে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির মালু ফার্ম হাউসে ওষুধের সন্ধান পান। ১১ মার্চ সন্ধেবেলায় দিল্লির ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা যখন এই ঘটনার তদন্ত করছেন, তার মধ্যেই শিল্পপতি বিকাশ মালুর দ্বিতীয় স্ত্রী সানভি মালু দিল্লি পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান যে তার স্বামী অভিনেতা সতীশ কৌশিক এর থেকে ১৫ কোটি টাকা ধার নিয়েছিলেন, যা তিনি সময় মত শোধ করতে পারেননি। মাঝখানে বিদেশে সতীশ কৌশিকের সঙ্গে বিকাশ মালুর এই নিয়ে উত্তপ্ত কাটাকাটি হয়। বিকাশ মালুর দ্বিতীয় স্ত্রী সানভি মালুর সন্দেহ, ৮ মার্চ দিল্লির ওই হোলি পার্টিতে সতীশ হয়তো বিকাশ মালুর কাছে সেই টাকার কথা তুলেছিলেন, যার জেরে সতীশের খাবারে বিষ প্রয়োগ করে থাকতে পারেন বিকাশ। বিকাশের দ্বিতীয় স্ত্রী সানভির লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর দিল্লি পুলিশ এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা এই ঘটনা তদন্ত করছেন। বিকাশ মালুর দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ওই খামারবাড়ি থেকে পাওয়া ওষুধপত্রের নমুনা সঙ্গে সতীশ কৌশিকের চূড়ান্ত পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
দ্বিতীয় স্ত্রী সানভি মালুর দিল্লি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ যখন সারাদেশে খবর হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে, সেই মুহূর্তে নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে মুখ খুললেন ‘কুবের গ্রুপ’ সংস্থার শীর্ষকর্তা, শিল্পপতি বিকাশ মালু।ইনস্টাগ্রামে বিকাশ লিখেছেন,… “গত ৩০ বছর ধরে যে সতীশজি আমার পরিবারের একজনের মত হয়ে রয়েছেন, মাত্র এক মিনিটেরও কম সময়ে তার নাম আমার সঙ্গে ভুলভাবে জড়িয়ে সারা পৃথিবীতে খবর হয়ে গেল…সেদিনের এত সুন্দর হোলি উদযাপনের পর এত বড় একটি অঘটন আমি ভাবতেই পারছিনা…আমার নীরবতা ভেঙ্গে আমি বলতে চাই ট্রাজেডি সব সময় অপ্রত্যাশিতই থাকে জীবনে, যার ওপর কারও কোনও হাত থাকেনা…এই কথা বলে সারা দেশের সংবাদ মাধ্যম প্রতিনিধিদের কাছে আমি অনুরোধ করব যে তাঁরা যেন প্রত্যেকের ভাবাবেগকে এই মুহূর্তে মূল্য দেন…আগামী দিনে আমাদের জীবনের সব রকম উৎসব উদযাপনে আমরা সতীশজিকে ভীষণভাবে মিস করব…।