উফ কী গরম!
Part-115

0

Last Updated on October 14, 2023 11:45 PM by Khabar365Din

উফ কী গরম !

HOT BIKINI

সানজিদা শেখ

৩৬৫ দিন। কেয়া হোগা নিম্নো কা খ্যাত অভিনেত্রী সানজিদা শেখ ঘুরতে খুবই ভালোবাসেন। সম্প্রতি সমুদ্রসৈকতে বালির ঘর বানাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অবশ্য সেটি দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।ছবিতে ধরা দিয়েছে তাঁর ফুটফুটে শিশুকন্যাও। পা ছড়িয়ে বসে মায়ের সঙ্গে সে-ও এক মনে বালি জড়ো করছে। কিন্তু সেই ছবি দেখেও ট্রোল করতে ছাড়েনি নিন্দুকেরা।অনেকেই লিখেছেন,মেয়ের থেকে তো মায়ের শরীরে কাপড় কম!মন্তব্য জমা হল ছবির নীচে।কেউ লিখেছেন,কদর্য পোশাক পরে মেয়েকে কী শিক্ষা দিচ্ছেন? এ সব নিয়ে জোরদার চর্চায় মেতেছেন সমাজমাধ্যমের সদস্যরা। ছবিতে দেখা যায়, নীল-বেগুনি ফুলছাপ বিকিনিতে সঞ্জিদা।তাঁর স্তনযুগল অনেকখানিই দেখা যাচ্ছে। নিম্নাঙ্গে বস্ত্রখণ্ড, যাতে ঊরু থেকে পা দৃশ্যমান।সেই নিয়ে এক দলের পাল্টা মন্তব্য, সমুদ্রের পারে আর কী-ই বা পরবেন? অহেতুক কটু মন্তব্যে তাঁকে বিব্রত করা কেন ?যদিও ধোপে টিকছে না এ ধরনের পক্ষ সমর্থন।বিরূপ মন্তব্যেই ঢেকে যাচ্ছে সব। একাংশের অভিযোগ, স্বল্পবাসে পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন বিবাহবিচ্ছিন্না অভিনেত্রী।তবে তাতে কি?নিন্দুকেরাতো নিন্দা করবেনই।তাতে বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে বেশ মজায় দিন কাটাচ্ছে মা-মেয়ে।প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর হল ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে আছেন সঞ্জিদা অভিনেতা আমির আলির সঙ্গে ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে দাঁড়ি টেনে সিঙ্গেল মাদার হিসাবেই মেয়েকে বড় করছেন এখন। তার মধ্যেই এ ধরনের তিক্ত মন্তব্য ভেসে আসলে সঞ্জিদার খুব একটা হেলদোল দেখা যায় না।মা-মেয়ে চুটিয়ে জীবনের আনন্দ উপভোগ করতেই ব্যস্ত।

HOT SPOT

ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড

ক্রাইস্টচার্চের একটা বড় আকর্ষণ ছাদহীন দোতলা বাসে করে শহর ঘোরা। বোটানিক্যাল গার্ডেন সামনে দিয়ে গিয়ে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ক্রাইস্টচার্চ ক্যাথিড্রাল দেখানো হয় ৷

৩৬৫ দিন। ওয়েলিংটনের পিকটন থেকে যেতে হবে ১৫০ কিমি দূরে ‘কাইকউরা’, গাড়ীতে ২ ঘণ্টা লাগবে। রাস্তার দুধারে প্রচুর আঙ্গুরের ক্ষেত, এই জায়গাটা ‘মারলবোরো’, এটা নিউজিল্যান্ডের সবথেকে বড় ওয়াইন তৈরির জায়গা। রাস্তার উপরেই দুটো ওয়াইনারি দেখা যায়। কাইকউরা ঢোকার আগে বেশ কিছুটা রাস্তা পাহাড়ের কোল দিয়ে, পাশে রেল পথ আর তার পাশে সমুদ্র, জলের তিন রকমের রঙ হালকা নীল ঘননীল আর সবুজ মিলেমিশে একাকার। এইখানে অনেক পর্যটক গাড়ী থামিয়ে এই মনোরম দৃশ্য দেখেন আর ছবি তুলে রাখেন। ‘কাইকউরা’তে এক রাতের জন্য বিশ্রাম নেওয়া, সেরকম দর্শনীয় কোন জায়গা নেই। ‘কাইকউরা’ থেকে ‘ক্রাইস্টচার্চ’ ১৭০কিমি রাস্তা, যেতে লাগবে ২ ঘণ্টা। ক্রাইস্টচার্চে দু রাত্রি থাকতে হবে নাহলে এখানকার দর্শনীয় স্থানগুলো দেখা হবে না। ২২.০২.২০১১ তারিখে ভয়াবহ ভূমিকম্পে

ক্রাইস্টচার্চের প্রচুর ক্ষতি হয়, ১৮৫ জন মানুষ মারা যান। কাছেই বোটানিক্যাল গার্ডেন, ১৮৬৩ সালে তৈরি ২১ হেক্টর জায়গা জুড়ে। ওইসময়ে ডেনমার্কের প্রিন্স অ্যালবার্ট আর প্রিন্সেস অ্যালেক্সের বিবাহকে স্মরণে এখানে একটি ইংলিশ ওক গাছ রোপণ করা হয়েছিল। গোলাপ বাগানে প্রায় ২৫০ রকমের গোলাপ ফুল ফুটে আছে, গোলাপ ফুলের এই রকম সাইজ আর রঙ খুব কমই দেখা যায়। এশিয়া, নর্থ আমেরিকা, ইউরোপ, সাউথ আমেরিকা ও সাউথ আফ্রিকা থেকে বিভিন্ন রকমের গাছ এনে এখানে রোপণ করা হয়েছে। এখানকার রক গার্ডেনে এমন কিছু ফুলের গাছ আছে যা সারাবছর ফুটে থাকে। বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশেই ক্রাইস্টচার্চের ক্যানটারবেরি মিউজিয়াম ১৮৬৭ সালে তৈরি হয় পরে ১৯৯০ সালে মিউজিয়ামের রেনভেশন হয়। প্রায় একঘণ্টা লাগে পুরো মিউজিয়ামটা ঘুরে দেখতে। ক্রাইস্টচার্চের একটা বড় আকর্ষণ ছাদহীন দোতলা বাসে করে শহর ঘোরা। বোটানিক্যাল গার্ডেন সামনে দিয়ে গিয়ে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ক্রাইস্টচার্চ ক্যাথিড্রাল দেখানো হয়। এখানে ভূমিকম্পে মৃত ১৮৫ জনের স্মরণে এক জায়গায় ১৮৫টা বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সাদা চেয়ার সাজিয়ে রাখা আছে, যার মধ্যে বিকলাঙ্গদের, বাচ্চাদের চেয়ারও আছে। সিটি ট্যুরে সময় লাগে প্রায় ঘন্টা খানেক।

HOT FOOD

হাঙ্গি

৩৬৫দিন। হাঙ্গি হল একটি ঐতিহ্যবাহী নিউজিল্যান্ড এর খাবার । এই খাবারটি তৈরি হয় সম্পূর্ণ মাওরি পদ্ধতিতে। যা একটি পিট ওভেনে চাপা উত্তপ্ত পাথর ব্যবহার করে খাবার রান্না করা হয়। এ ওভেনটিকে উমু বলা হয়। এটি এখনও পর্যন্ত বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানে তৈরি করা হয়। কারণ খুব সহজ পদ্ধতিতে রান্না করা যায় এবং অনেকটা পরিমাণ। এটি তৈরি করতে বিশেষ কোনো মসলার প্রয়োজন হয় না তাই খুব সহজলভ্য বলে ধরা হয় এই রান্নাটিকে। একটি হাঙ্গি বসানো থেকে নামানো পর্যন্ত রয়েছে একটা বিরাট প্রসেস। যার মধ্যে রয়েছে মাটিতে একটি গর্ত খনন করা, গর্তে পাথরকে আগুন দিয়ে গরম করে নেওয়া, পাথরের উপরে খাবারের ঝুড়ি রাখা এবং কয়েক ঘন্টা আগে মাটি দিয়ে সবকিছু ঢেকে রাখা। অর্থাৎ মাটি ঢেকে রাখা অবস্থাতেই রান্নাটি হয়। সম্পূর্ণ ওই পাথরের তাপে। বর্তমানে হাঙ্গি বিশেষজ্ঞরাক্ষ্ম এই পদ্ধতিকে আরও উন্নত করেছে। এখনও পাথরকে গরম করেই তৈরি করা হয় খাবারটি তবে কিন্তু যে পাথর দিয়ে রান্নাটি করা হয় সে পাথরটি এখন অনেকটাই উন্নত প্রযুক্তির হয়ে গেছে । এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে পাথরগুলি অনেকক্ষণ গরম থাকে। মাটি অবশ্যই থাকে কিন্তু সেই মাটি ও রিফাইন এবং অর্গানিক পদ্ধতিতে পরিসুধিত করে রাখা থাকে। হাঙ্গিতে রান্না করা সাধারণ খাবার হল ভেড়ার মাংস, শুয়োরের মাংস, মুরগির মাংস এবং সামুদ্রিক খাবার (কাইমোয়ানা), এবং সবজি যেমন আলু, কুমারা (মিষ্টি আলু), ইয়ামস (ওকা), কুমড়া, স্কোয়াশ, ট্যারো এবং বাঁধাকপি ।