Last Updated on September 25, 2020 5:59 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন: নয়াদিল্লি। অপারেশন কমল সমাজ। দেশের সুশীল সমাজের অনুকরণে আরএসএস ফর্মুলায় তৈরি বিজেপির এই কমল সমাজ। রাজ্যপাল, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ, অন্যান্য সাংবিধানিক পদে আরএসএস ঘনিষ্ঠদের বসিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ও বিজেপি সরকার এবং সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী দের বিরুদ্ধে কুৎসা করার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এই কমন সমাজের প্রতিনিধিদের কাজে লাগাতে শুরু করেছে বিজেপি।
বাংলা সহ দেশের অ-বিজেপি রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা দখলের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ফর্মূলা কার্যকর করা শুরু করেছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তার জন্য দলীয় পদ নয়, বিভিন্ন বিজেপি রাজ্যগুলিতে সাংবিধানিক পদ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অনুগত এবং ঘনিষ্ঠ শিক্ষিত ব্যক্তিদের বসানোর কাজ শুরু করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে। ২০২০ এবং ২০২১ সালে দেশের যে কটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, সেই রাজ্যগুলিতে রাজ্যপাল অথবা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অথবা অন্যান্য সাংবিধানিক পদে বসানোর জন্য নাগপুরে আরএসএস হেডকোয়ার্টারে ইতিমধ্যেই রীতিমতো প্যানেল তৈরি করা হয়েছে সম্ভাব্য শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের। মূলত ত্রিপুরায় রাজ্যপাল পদে বাংলার প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি কট্টর হিন্দুত্ত্ববাদী বলে পরিচিত এবং অবশ্যই শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী তথাগত রায়কে বসিয়ে ত্রিপুরা দখলের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পর থেকেই ত্রিপুরাকে পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে মেনে বাংলা, মেঘালয় এবং অন্যান্য অ-বিজেপি রাজ্যগুলিকে টার্গেট করেছে বিজেপি।
ত্রিপুরার পরেই মোদি-শাহের টার্গেট বাংলা দখল। তাই একদিকে যেমন জগদীপ ধনকড়ের মত ব্যক্তিকে রাজভবনে সাংবিধানিক পথ দিয়ে বসিয়ে নিয়মিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের উপরে নজরদারিও গোয়েন্দাগিরির পাশাপাশি বকলমে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি প্রায় নজিরবিহীনভাবে গোটা তিনেক রাজ্যের রাজ্যপাল পদে ঘুরে আসা তথাগত রায়কে নতুন করে বিজেপির সদস্যপদ দিয়ে বাংলার রাজনীতিতে নামানো হয়েছে। এমনকি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের চরম অপছন্দের ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও তথাগতকে নিয়মিত রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কব্জা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আরএসএস ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে উপাচার্য পদে বসিয়ে সেখানেও কার্যত রাজ্য সরকারকে অপেক্ষা করে মুক্তাঞ্চল তৈরীর ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে।