Last Updated on September 5, 2020 11:09 PM by Khabar365Din
বেলপাহাড়ির ধাঙ্গিকুসুম এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পরিদর্শন ডিজিপি বীরেন্দ্র’র। শনিবার সকালে। ছবি : ৩৬৫ দিন
৩৬৫ দিন। জঙ্গলমহলে মাওবাদী গতিবিধির অভিযোগ ওঠার পরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন। শনিবার ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে রাজ্য পুলিশের ডিজি ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এডিজি (পশ্চিমাঞ্চল), আইজি বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া জেলার পুলিশ সুপার, ডিএসপি বেলপাহাড়ি, এএসপি (ঝাড়গ্রাম) সহ শীর্ষ আধিকারিকেরা। গোটা জঙ্গলমহল জুড়ে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এদিনই কাশ্মীর থেকে তিন কোম্পানি যৌথবাহিনী জঙ্গলমহলে এসে পৌঁছেছে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ১৮ই জুন তৎকালীন অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার লালগড়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু করে। সেই সময় থেকেই জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় সিআরপিএফ জওয়ানরা স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকতে শুরু করে। ২০১১ সালে রাজ্য পরিবর্তন হওয়ার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মাওবাদীদের নাশকতামূলক কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও জঙ্গলমহলে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সিআরপিএফ জওয়ানরা ক্যাম্প করে জঙ্গল মহলে ছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার সময় জঙ্গলমহল থেকে সিআরপিএফের ১৮৪ ব্যাটলিয়ানের ২ কোম্পানি ও ২৩২ ব্যাট লিয়ানের ১ কোম্পানিকে জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তুলে নিয়ে যায়। ফের জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা গতিবিধির গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে কাশ্মীর থেকে স্পেশাল ট্রেনে তিন কোম্পানির জওয়ানদের ঝাড়গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। শনিবার সকাল ৫ টা ৪৫ মিনিট দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর টাটা রেললাইনের ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশনে এসে দাঁড়ায় কাশ্মীর থেকে জওয়ান দের নিয়ে আসা স্পেশাল ট্রেন। আপাতত ওই জওয়ানদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তারপর তারা জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় কাজে যোগ দেবেন।