Last Updated on September 18, 2020 5:10 PM by Khabar365Din
ভারতে চাটার্ড বিমানে যাতায়াত যথেষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ডিজিসিএ দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুধু চার্টার্ড বিমান ওঠা নামার জন্য একটি বিশেষ টার্মিনাল খুলল। চার্টার্ড বিমানের যাত্রীদের আর সাধারণ ডোমেস্টিক বিমানের যাত্রীদের মতো টার্মিনালে ঢুকতে হবে না।
৩৬৫ দিন: সাড়ে চার লাখ টাকা থেকে শুরু। বেক্তিগত বা চার্টার্ড বিমান পরিষেবা দিতে প্রস্তুত ইন্ডিগো, স্পাইস জেট, জেট এয়ারওয়েজ, এআর চার্টার্ড এর মত বিমান সংস্থারা। স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে কোভিড পরিস্থিতিতে পয়সা খরচ করলেই এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। দিল্লিতে এর জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন টার্মিনাল। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই ভাবনা। ইতিমধ্যেই এই বিশেষ বিমান পরিষেবা পাওয়ার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু হয়েছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে সেই বিজ্ঞাপন পৌঁছে যাচ্ছে সেই সব মানুষের কাছে যাঁরা এই বিমান পরিষেবার ব্যয় বহন করতে পারবেন কিংবা যারা আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা প্রায়সই নিয়ে থাকেন।
ব্রজদুলাল কহিল, নিজের সন্তান ,স্ত্রী কাহারও ওপর আমার কি কোনও কর্তব্য নাই? পথে শিয়াল, বাঘের ভয়। ডাকাতের উৎপাতও বাড়িয়াছে। পালকিতে আমি উহাদের কখনোই শ্বশুরালয়ে পাঠাইতে পারি না। প্রয়োজনে হাতি আনিব। তাহাতে যে যাহা ভাবুক।
ব্রজদুলালের পিতৃদেব পুত্রের এই যুক্তি কিভাবে খণ্ডন করেন, তা সৈয়দ মুজতবা আলী লিখে গিয়েছেন। কিন্তু মনন্তরের দিনেও ব্রজদুলালের নিজ পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধকে অস্বীকার করা যায় কি? মহামারীর সময়ে আমরা দেখেছি দেশের বহু অর্থবান মানুষ নিজের সন্তান, পরিবারের সুরক্ষার জন্য বেক্তিগত বা চার্টার্ড বিমান ভাড়া করে যাতায়াত করেছেন। সাধারণ বিমানে শযে শয়ে যাত্রীদের মধ্যে ছোঁয়াচে ভাইরিসের হাত থেকে নিজের পরিবারকে রক্ষা করার অধিকার অবশ্যই তাঁদের আছে। দরিদ্রের দেশে দারিদ্রের খবর শিরোনামে থাকবে,এতো জানা কথা। কিন্তু তাই বলে অর্থবানদের জন্য কোনও সুবিধা থাকবে না, এটা হতে পারে না। কিন্তু বিশেষ বিমান পরিষেবা কেউ যদি নিতে সমর্থ হয়, তার জন্য দেশ কতটা তৈরি? উত্তর হল, যথেষ্ট। দেশের প্রায় প্রতিটি বিমান পরিষেবা সংস্থা প্রাইভেট জেট বা চার্টার্ড বিমানে সফর করার সুযোগ নিয়ে আসছে। নয়া দিল্লির আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নতুন করে সেজে উঠছে এই চার্টার্ড বিমান পরিষেবার জন্য। সেখানে তৈরি হচ্ছে নতুন টার্মিনাল। যেখানে ১৫০ র বেশি চার্টার্ড বিমান, হেলিকপ্টার ব্যক্তিগত জেট ওঠা নামার বন্ধবস্ত থাকছে। যাত্রীদের প্রবেশপথও ভিন্ন। বাকি বিমান যাত্রীদের ভিড়ে তাদের ভিড়তে হবে না। ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে এই পরিষেবা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ব্যবসার জন্য, স্বাস্থ্য বিধি , বেক্তিগত কারণে এই চার্টার্ড বিমান পরিষেবা নিয়ে থাকেন দেশের ১.৭ শতাংশ নাগরিক, এবং আগামী দু বছরে এই পরিষেবা নিতে পারেন আরও ২.৬ শতাংশ নাগরিক। যা দেশের জনসংখ্যার হিসাবে কিন্তু বিপুল। ভারতীয় উড়ান ব্যবসায় এক নতুন দিক খুলে গেল বলা যায়। ব্রজদুলালের পিতা যাই যুক্তি দিক, নিজের ও পরিবারের সুরক্ষাই আধুনিক বিশ্বের অভিমুখ, একথা অস্বীকার করা যায় না।