দুর্গা পুজো নিয়ে ফেক নিউজ ছড়ানোয় তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর, জঙ্গলমহলে মাওবাদী প্রচারের দ্রুত রিপোর্ট চাইলেন

0

Last Updated on September 8, 2020 8:59 PM by Khabar365Din

৩৬৫দিন। পুলিশের ভূমিকাকে সম্মান জানিয়ে দেশের মধ্যে প্রথম বাংলাতে পালন করা হলো পুলিশ দিবস। মঙ্গলবারের এই অনুষ্ঠান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের ওপর বিরোধীদের আক্রমণ, ক্রমাগত কুৎসা ও ফেক নিউজ ছড়ানো নিয়ে সরব হয়েছেন। নাইট কারফিউ জারি করে সরকার দুর্গাপুজো করতে দেবে না বলে যে ভুয়ো খবর বিরোধীরা হোয়াটসঅ্যাপে ছড়াচ্ছে সে প্রসঙ্গেই ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী এদিন পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, যারা ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে তাদের যেন কান ধরে উঠবোস করানো হয় সকলের সামনে। কোনও রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ফেক আইটি সেল, নামটা করে বলতে চাই না। সরকারি নির্দেশ ছাড়াই রটিয়ে দিয়েছে, দুর্গাপুজোয় কাউকে রাতে বেরোতে দেওয়া হবে না। আমি বলি এরা কোন হরিদাসপাল, কোন গর্দশিক্ষিতের দল কোন অশিক্ষিতের দল! সরকার ক্লাবগুলিকে নিয়ে দুর্গাপুজোর বৈঠক করে। এখনও তেমন মিটিংই করেনি সরকার। দুর্গাপুজোর দেরি আছে। করোনা পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই কাজ কারা করেছে সবাই জানে। নাম আর বলব না। যারা দুর্গাপুজো করেনি জীবনে, তারা পুজো নিয়ে ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে। যারা ভুয়ো মেসেজ ছড়িয়েছে তাদের কান ধরে ওঠবোস করাও। প্রমাণ করে দেখান যে রাজ্য সরকার বলেছে, দুর্গাপুজো হবে না এবার ৷ প্রমাণ করতে পারলে সবার সামনে আমি ১০১ বার কান ধরে ওঠবোস করব৷ ভুয়ো খবর প্রচারের পিছনে কারা রয়েছে তাদের খুঁজে বার করতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের সাইবার সেলকে তদন্ত করে দেখতে বলেন।

জঙ্গলমহলে মাওবাদী প্রসঙ্গে
জঙ্গলমহলের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডিজিকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সঠিক ঘটনা কি? কারা এর পেছনে রয়েছে? জানতে চাই। টুক করে ঘর থেকে বেরিয়ে গুলি মারছে আর পালিয়ে যাচ্ছে। এটা চলতে পারে না।

পুলিশের উপর আক্রমণ
সম্প্রতি বিভিন্ন প্রকাশ্য জনসভায় থেকে বিজেপি নেতারা যেভাবে রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছেন এবং পুলিশকে আক্রমণ করছেন সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মনোজ ভার্মা ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার, তাকেও তো গুলি করে মারার চেষ্টা হয়েছিল। যারা রোজ কুৎসা করে বেড়ায় তারা একবারও বলছে না ডিজিকে যে, তোমার পুলিশ ভালো কাজ করেছে। বরং কেন ওর ওপর অত্যাচার হলো সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আপনারা আমাদের পুলিশকে ধমকাচ্ছেন, বন্দুক দেখাচ্ছেন, বোম দেখাচ্ছেন। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বৃদ্ধ মাকেও ভয় দেখিয়ে এসেছিলেন।পুলিশের জন্য কুৎসাকারীরা শান্তিতে রাস্তায় হাঁটতে পারছে, যে পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে, তাদেরকেই গালিগালাজ করছে। শুধু তাদেরই নয় পুলিশের পরিবার-পরিজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। তাদের কি দোষ? বাংলায় যা কোনো দিনও হয়নি আপনারা সেটাই করবার কথা বলছেন। এতই সাহস?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here