Last Updated on September 6, 2020 6:20 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন: মোদি জমানায় আচ্ছে দিন। ২০১৪ সালে গোটা দেশে আচ্ছে দিন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলেও নরেন্দ্র মোদি জমানায় ব্রিটিশ আমলের রেকর্ড মনে করিয়ে দিয়ে ফিরে আসছে কৃষক আত্মহত্যা নজির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো অথবা এনসিআরবি প্রতিবছর সারাদেশের যে তথ্য প্রকাশ করে তাতেই উঠে আসছে দেশের কৃষকদের এই ভয়ানক দুরবস্থার ছবি। অথচ অদ্ভুতভাবে ২০১৮ এবং ২০১৯ এই দুই বছরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় একজন কৃষক আত্মহত্যা করেননি। নরেন্দ্র মোদি যেখানে বহু ঢাকঢোল পিটিয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পরে ঘোষণা করেছেন ২০২২ সালের মধ্যে তিনি নাকি দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন, সেখানে ২ বছর আগেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কৃষক দের আয় বাড়িয়েছেন সাড়ে তিন গুণেরও বেশি। আর তার জন্যেই গত ৬ বছর ধরে লাগাতার গোটা দেশের মধ্যে কৃষিকর্ম পুরস্কার বা কৃষিতে সেরা রাজ্যের শিরোপা জিতে নিয়েছে বাংলা। কৃষক আত্মহত্যার নিরিখে গোটা দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কংগ্রেসও শিবসেনা শাসিত মহারাষ্ট্র, বিজেপি শাসিত কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো ২০১৯ সালের যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, গোটা দেশে ৪২৪৮০ জন কৃষক ও দিনমজুর আত্মহত্যা করেছে। ২০১৮ সালের তুলনায় আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে ৬ শতাংশ। এনসিআরবি-র তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে ১০ হাজার ৩৫৭ কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন। সেখানে গত বছর ১০ হাজার ২৮১ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে দেশের মোট আত্মহত্যাকারীর ৭.৪ শতাংশই দেশের কৃষকরা। জানা গিয়েছে, কৃষি ক্ষেত্রে মোট আত্মঘাতীর মধ্যে কৃষকের সংখ্যা ৫৯৫৭ জন। ৪৩২৪ জন হলেন খেতমজুর। আর আত্মহত্যার ক্ষেত্রে মহিলাদের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছেন পুরুষদের সংখ্যা। ২০১৯ সালে ৫৫৬৩ পুরুষ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। মহিলা কৃষকের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা হল ৩৯৪ জন। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশ করায় পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদির আমলে দেশের কৃষকদের কতটা আচ্ছে দিন এসেছে।