Last Updated on September 3, 2020 6:00 PM by Khabar365Din
নভিচক। অবশেষে নভিচক নার্ভ এজেন্টের হদিশ পাওয়া গেল আলেক্সি নাভালোনির শরীরে। মঙ্গলবার রাতে বার্লিনের সেনা হাসপাতালের পরীক্ষাগারের রিপোর্ট এসে পৌঁছল ডাক্তারদের কাছে। তাতে পরিষ্কার উল্লেখ করা আছে যে, নভিচকের এক উন্নত প্রজাতির সন্ধান মিলেছে নাভালোনির প্লাজমায়। এই প্রজাতিটি অতি সাম্প্রতিক কালে আবিষ্কৃত। সম্ভবত এই প্যান্ডামিক সময়তেই। যেহেতু এই নতুন নভিচক যার সাংকেতিক নাম এন ১ এল আর সদ্য আবিষ্কৃত, তাই এর উপস্থিতি খুঁজে পেতে দশ দিন সময় লেগেছে। জার্মানির রাষ্ট্রপ্রধান এঞ্জেলা মর্কেল প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, আমরা নিশ্চিত ছিলাম আলেক্সিকে এমনই কোনও বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে যাতে চিরদিনের মতো বিরোধী এই কন্ঠস্বর বন্ধ করে দেওয়া যায়। তীব্র নিন্দা জানাই। জার্মানির টক্সিকোলজিস্ট বা বিষ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নভিচকের ব্যবহার কেজিবির কাছে খুবই জনপ্রিয়। গত দু বছর আগেই প্রাক্তন কেজিবি এজেন্ট সের্গেই ও তার মেয়ে উলিয়ার উপর এই নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়। তবে ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা দ্রুত তা ধরে ফেলেন। এর পর থেকেই সোভিয়েত সিক্রেট সার্ভিস এফ এস বি বা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস অফ রাশিয়ান ফেডারেশনের বিজ্ঞানীরা নভিচককে আরও উন্নত করার গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৯৯৫ সালে কেজিবি ভেঙে দিয়ে এফ এস বি গঠিত হলেও, কেজিবির প্রাক্তনদের ব্যবহার করা হচ্ছে এই কাজে। যাতে ধরা পড়লে রাশিয়া তাকে প্রাক্তন বলে গা ঝেড়ে ফেলতে পারে। এরাই এই কাজে দক্ষ। নভিচক , পোলোডিয়াম ১১০, রেসিন এ এক্স টু, পটাশিয়াম সায়ানাইড, সারিন, ক্লোসটিডিয়াম, বটুলিনিয়াম, ভি এক্স ইত্যাদি রাসায়নিক বিষ ও নার্ভ এজেন্টের ব্যবহার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই হয়ে আসছে। গুপ্তচর হত্যার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে শীতলযুদ্ধের আবহে রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা কেজিবির মধ্যে এই রাসায়নিক বিষের প্রয়োগ বহুল জনপ্ৰিয় ছিল । যা আজও সমান কাজে দিচ্ছে।
এই ধরণের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিষ এক আউন্সের দশ ভাগের এক ভাগ রক্তে মিশে গেলে কাজ সম্পূর্ণ হয়।