Last Updated on September 9, 2020 11:01 PM by Khabar365Din

সদাশিব রানা। মুম্বই বান্দ্রার পালি হিলসে কঙ্গনা রানাওয়াত এর মালিকানাধীন মণিকর্ণিকা অফিসের বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া নিয়ে দেশজুড়ে বিজেপি নেতারা কোমর বেঁধে লেগে পরেছেন মহারাষ্ট্রের উদ্যোগ সরকারের বিরুদ্ধে। ন্যক্কারজনক ভাষায় শালীনতার যাবতীয় সীমা ছাড়িয়ে গিয়ে ব্যগিত নিম্ন রুচির পরিচয় দিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যগিত স্তরে গালাগালি করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। কঙ্গনাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে নেমে পড়েছেন বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও কিঙ্গনা নাকি কান্না কেঁদে বক্তব্য কটাই, তার বাড়ির কোনো অংশই নাকি নিয়মবহির্ভূত নয় এবং শিবসেনা শাসিত বিমসি কর্তৃপক্ষ তাঁকে পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই অবৈধ নির্মাণের অংশ ভেঙে ফেলেছেন। কিন্তু তথ্য বলছে ২০১৮ সালে

তৎকালীন বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ নির্দেশেই মণিকর্ণিকা ই নির্মাণ টিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আইনের আওতায় ৩৫৪ সেকশন অনুসারে। যদিও দেবেন্দ্র ফড়নবিশ র স্ত্রী এবং মহারাষ্ট্রের শীর্ষস্তরের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য কঙ্গনার বেআইনি বাড়ি ভাঙার নোটিশকে কার্যত রাতারাতি চেপে দেওয়া হয়। অথচ এখন শিবসেনা কংগ্রেস এবং এনসিপি জোটের সরকার পুরনো নোটিশ এবং বিমসির সিদ্ধান্ত অনুসারে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার জেরে চারিদিকে গেল গেল রব তুলেছেন বিজেপি নেতারা এবং তাদের পেটোয়া কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী। যাদের মধ্যে একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছেন অনুপম খের এবং প্রসূন যোশী। বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার বিনায়ক ভিসপুটে জানান, কঙ্গনার প্রযোজনা সংস্থা মনিকর্ণিকা ফিল্মসের অফিসের নির্মাণকে ২০১৮ সালে বিএমসি থেকে বার বার নোটিশ দিয়ে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তখনো কঙ্গনা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে কয়েকদিনের জন্য সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। এবারেও গত মে মাস থেকে অন্তত তিনটি নোটিশের কোনো জবাব দেননি কঙ্গনা। বাধ্য হয়েই ভেঙে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে। অন্তত ৮-১০ টি কাঠামােগত নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে। বান্দ্রার পালি হিলের এই অফিসে।