Last Updated on September 9, 2020 9:38 PM by Khabar365Din
সদাশিব রানা। ৩৬৫ দিন। একজন রাজনন্দিনী, আরেকজন জেলবন্দিনী। কঙ্গনা রানাওয়াত এবং রিয়া চক্রবর্তী এই দুই বলি অভিনেত্রী অদ্ভুতভাবে জড়িয়ে পড়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুরহস্যের সঙ্গে। বড় বাজেটের কোনও ছবি এদের দুজনের ঝুলিতেই না থাকা সত্বেও যেভাবে দেশজুড়ে প্রচারের আলোয় উঠে এসেছেন এই দুজন, তার পেছনে অবশ্যই রয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন ক্ষমতায় থাকা বিজেপির হাতযশ। মূলত চলতি বছরের নভেম্বরে বিহার বিধানসভা ভোটের আগে বিহার থেকে উঠে আসা সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে দেশজুড়ে তৈরি হওয়ার সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগানোর জন্য কার্যত অলআউট ছাপিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যতই হোক বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহার পরে বিহার থেকে উঠে আসা সব থেকে বড় স্টার সুশান্ত।
যেনতেন প্রকারেন রিয়াকে গ্রেফতার
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর জন্য আসল অপরাধীকে খুঁজে বের করতে হবে, দেশ জোড়া এই দাবির মুখে অত্যন্ত সফট টার্গেট ছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। তাই সুশান্তের টাকা তছরুপ করা অথবা তাকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলা অথবা সুপারি কিলার ভাড়া করে সুশান্তকে গুপ্তহত্যা করানোর প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে না পাওয়ার পরে কার্যত কোন উপায় না দেখে মাদক কেনা এবং সেবনের অভিযোগ তুলে গ্রেফতার করা হল রিয়াকে। অথচ কী আশ্চর্য, এনসিবি আদালতে রিয়াকে রিমান্ডে চাওয়ার সময় কোথাও লিখলেই না রিয়া মাদক সেবন করতেন। আবার আজ রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ধে আদালতে জামিনের আবেদন করে স্পষ্ট জানালেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে কোন মহিলা তদন্তকারীরা অনুপস্থিতিতেই নির্দিষ্ট কয়েকজন পুরুষ অফিসার একটি ঘরে মানসিক নির্যাতন চালিয়ে রিয়ার মুখ থেকে নিজেদের ইচ্ছেমতো স্বীকারোক্তি করিয়ে নিয়েছেন মাদক মামলায়। তাই রিয়ার স্বীকারোক্তি বলে যেটি আদালতে জমা পড়েছে তার সম্পূর্ণ অস্বীকার করছেন রিয়া চক্রবর্তী।
হঠাৎ করে দেশনেত্রী কঙ্গনা
বহু কাঠখড় পুড়িয়ে মধ্যরাতে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করে ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে শিবসেনা তথা মহারাষ্ট্রের সরকারকে বেকায়দায় ফেলার পাশাপাশি সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুকে বিহার ভোটের আগে বিজেপির মূল ইস্যু বানাতে বিজেপির সবথেকে বড় মোহরা কঙ্গনা রানাওয়াত। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই 2018 সালে বিএমসি কর্তৃপক্ষ কঙ্গনার মণিকর্ণিকা প্রযোজনা সংস্থার অফিসের নির্মাণকে বেআইনি বলে ভেঙে ফেলার নোটিশ পাঠিয়েছিল। গতকাল নোটিশ দিয়ে উদ্ধব ঠাকরের সরকার আজ সকালে কঙ্গনার অফিসের বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়াতে দেশজুড়ে গেল গেল রব উঠেছে, তা আসলে সত্যি ঘটনাটিকে চেপে দেওয়ার প্রয়াস মাত্র।