Last Updated on September 16, 2020 10:41 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। প্রবল চাপের মুখে বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা কাটাতে আশ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক চলে। যদিও বৈঠকে কোন বিষয়ে কোনো সমাধানসূত্র মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে মেলার মাঠে পাঁচিল প্রসঙ্গ থেকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলার মতো একাধিক প্রসঙ্গ ওঠে । উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিংহভাগ আশ্রমিক। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের স্বার্থে কাজ করতে গিয়ে তিনি যে বিশ্বভারতীর চিরাচরিত ঐতিহ্যকে জলাঞ্জলি দিচ্ছেন তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন তাঁরা। মেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা নিয়ে উপাচার্যকে কার্যত তুলোধোনা করেন আশ্রমিকরা। কেন সম্পূর্ণ রবীন্দ্রনাথের আদর্শের বিপরীতে হেঁটে বিশ্বভারতীকে জেলখানায় পরিণত করার চেষ্টা করছেন তিনি সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাঁরা পরিষ্কার জানিয়ে দেন কোন অবস্থাতেই বিশ্বভারতীর মেলার মাঠকে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা যাবে না। বিশ্বভারতীর অন্যান্য সমস্ত অংশকেও আগের মত উন্মুক্ত রাখতে হবে। স্বভাবতই আশ্রমিকদের প্রশ্নের মুখে অস্বস্তিতে পড়েন উপাচার্য। আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর জানিয়েছেন, এদিনের বৈঠকে কোন নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি উপাচার্য। তাই এই মুহূর্তে বৈঠক নিয়ে কোন কিছু মন্তব্য তিনি করবেন না। প্রবীণ আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আজ বৈঠক হলো। আলোচনার মধ্যে উঠে এসেছে মেলার মাঠের প্রাচীর বিতর্ক, তবে মাঠ ঘেরা নিয়ে কোন সমাধান সূত্র মেলেনি আজকের বৈঠকে। যদিও বৈঠক নিয়ে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের তরফে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।