Last Updated on September 3, 2020 8:41 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন: দেশের অর্থনীতি সর্বকালীন তলানিতে ঠেকেছে। জিডিপি চলে গিয়েছে শূণ্যেরও নিচে। প্রতিদিন দেশে প্রায় এক লাখ এর কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে করোনাতে। তাতে অবশ্য বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই সিপিএম নেতাদের। কিন্তু ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন টিক টক অথবা উইচ্যাট এর মত চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছে তা নিয়ে বেজায় মাথাব্যথা সিপিএমের পলিটব্যুরো নেতাদের।
প্রকাশ কারাতের সম্পাদনায় সিপিএমের সর্বভারতীয় মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত পিপলস ডেমোক্রেসিতে এই নিয়ে লম্বা প্রতিবেদন লিখে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সিপিএমের পলিটব্যুরো। বাংলার সিপিএম আবার সেই প্রতিবেদন সম্পুর্ন সমর্থন করে প্রকাশ করেছে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে।
প্রথমে ভারত সরকার এবং পরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন সরকার মূলত টিকটক সহ এই ধরনের চিনা অ্যাপ গুলোর সাহায্যে নিজেদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং দেশের সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য চীনের হাতে চলে যাওয়া আটকাতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এই অ্যাপগুলিকে। ভারতে যেমন টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার পরে রিলায়েন্স জিও টিকটকের ভারতীয় বাজারে কিনে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে ঠিক তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাইক্রোসফট গুগোল এর মত বহুজাতিক মার্কিন সংস্থাগুলি টিকটকের বাজার ধরার জন্য সেই নেটওয়ার্ক কেনার চেষ্টা করছে।
এখানেই অদ্ভুত এক যুক্তি পেশ করেছেন ভারতের সিপিএম নেতারা। পিপলস ডেমোক্রেসির সাম্প্রতিকতম সংখ্যায় রীতিমতো আক্রমণাত্মকভাবে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে, টিকটকের মত বহুল জনপ্রিয় অ্যাপ ব্যবহার করে চীন দেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করাটা যদি অপরাধ হয় তাহলে দেশীয় সংস্থাগুলি ভারতীয় নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য নিলে তা কেন অপরাধ বলে গণ্য হবে না?
অবশ্য সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর থেকে ভারতীয় কমিউনিস্টদের কাছে আদর্শ হিসেবে বারে বারে উঠে এসেছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং অবশ্যই চীনের স্বার্থ। ইন্দো চীন যুদ্ধের সময় হোক অথবা সাম্প্রতিকতম লাদাখ সীমান্তে চীনের অনুপ্রবেশের পরে দেশজুড়ে চীন বিরোধী প্রচার – কখনোই চীনের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলতে শোনা যায়নি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির কোন শীর্ষ নেতাকে। তাই দেশের স্বার্থ নয় আবারো প্রমাণ হলো ভারতীয় কমিউনিস্টরা আসলে চীনের স্বার্থ নিয়েই বেশি চিন্তিত।