Last Updated on September 12, 2020 8:54 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন: গালওয়ান ঘটনার পুনরাবৃত্তি। জুন মাসে লাদাখ সীমান্তে চীনের পিএলএ বাহিনীর আগ্রাসনে নিহত হয়েছিল ভারতীয় সেনারা। তখনো যেভাবে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কে মস্কোতে ডেকে মধ্যস্থতা করে সাময়িকভাবে ইন্দোচীন সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল রাশিয়ার মধ্যস্থতায়, ঠিক একইভাবে গত 7 সেপ্টেম্বর পূর্ব লাদাখের ইন্দোচীন সীমান্তে চীনের পেলে বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা চরমে ওঠার পরে ভারত এবং চীনের 2 বিদেশ মন্ত্রী কে সঙ্গে নিয়ে মধ্যস্থতার বসে রাশিয়া। আশ্চর্যজনকভাবে মস্কোতে ভারত এবং চীনের বিদেশ মন্ত্রী কে নিয়ে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর ত্রিপাক্ষিক মধ্যস্থতা বৈঠকের পরে 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই লাদাখ এবং অরুণাচল – ইন্দো চীন সীমান্তের এই দুই এলাকাতেই আপাতত শান্তি ফিরে এলো। বিদেশের বিদেশমন্ত্রক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ আপাতত কোনো পক্ষই নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করার বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি চীন যেভাবে অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে সেখান থেকে 5 যুবককে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল তাদেরও প্রত্যর্পণ করল ভারতের হাতে।
অরুণাচল প্রদেশের 5 অপহৃত যুবককে অবশেষে ভারতীয় সেনার কাছে প্রত্যর্পণ করল চীনের পিএলএ বাহিনী। গতকাল মস্কোয়ে ভারত এবং চীনের বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সহজ করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে চেন এই পাঁচজনকে ফেরত দিল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও গত সপ্তাহেই চীনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ রীতিমতো বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছিল অরুণাচল কোনদিনই ভারতের অংশ ছিল না অরুণাচল বরাবরই চীনের ভূখন্ড হিসেবে স্বীকৃত। অরুণাচল থেকে পাঁচজন ভারতীয়কে অপহরণের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে চীনের বিদেশ মন্ত্রী ঝাও লিজিয়ান স্পষ্ট ভাষায় বিবৃতি দিয়ে জানান, অরুণাচল প্রদেশ চিরকাল চীনের অংশ। অরুণাচল কোনদিনই ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাই সেখান থেকে কাউকে অপহরণের প্রশ্নই ওঠে না।