Last Updated on February 16, 2023 8:28 PM by Khabar365Din
প্রকাশক সমিতির ক্ষমতাই নেই ঢাকার আমন্ত্রণপত্রই পাইনি

৩৬৫দিন।বইমেলা করবে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক সমিতির ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল বইমেলা করার ক্ষমতা নেই। ওদের সঙ্গে কথা বলে কি করব।২০২০ সালের পর দু’বছর কেটে গেলেও সাহিত্য উৎসবের যে চুক্তি হয়েছিল তার ভিত্তিতে দিনক্ষণ স্থির করে কোনও আমন্ত্রণ পত্র গিল্ডকে পাঠানো হয়নি। আসল কথা হল ওদের ওই ক্ষমতাই নেই বিদেশের কোন সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ওখানে মেলা করার। এখানে গিল্ডের সেই ক্ষমতা রয়েছে বলেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক বইমেলা করে। বাংলাদেশের পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ সভাপতি মাজহারুল ইসলামকে এবার কড়া জবাব দিলেন গিল্ড কর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ঢাকা থেকে মাজহারুল ইসলাম বাংলাদেশে বইমেলা ও বাংলা সাহিত্য উৎসব আয়োজন করতে না পারার জন্য গিল্ডকেই দায়ী করেছিলেন। এবার তার প্রতিক্রিয়ায় পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কোনো প্রকাশক সংগঠনের বাংলাদেশ বইমেলার আয়োজন করার ক্ষমতা নেই। এমনকি সাহিত্য উৎসবের চুক্তি স্বাক্ষর করলেও তার কোন আমন্ত্রণ পত্র আজ পর্যন্ত গিল্ডকে পাঠানো হয়নি।
২০১৯ সালে আগস্ট মাসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংস্কৃতি মন্ত্রীর সঙ্গে গিল্ড কর্তৃপক্ষর বৈঠক সিদ্ধান্ত হয়েছিল, হাসিনা সরকার আবার আন্তর্জাতিক বইমেলার আসর বসাবে ঢাকায়।সেখানে ভারতীয় প্রকাশকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলারস গিল্ডের তরফে ২০২১ সালের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়। এরপর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে বইমেলা উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র তুলে দিয়েছিলেন গিল্ডের দুই কর্তা সুধাংশু শেখর দে ও ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের তরফে গিল্ডের কাছে ২০২২ সালের কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি করার জন্য আবেদন করে। ২০২০ সালের মাঝেই বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি গিল্ডের সঙ্গে একটি বৈঠক করে। যেখানে গিল্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয় দুই বাংলা যৌথভাবে সাহিত্য উৎসব করার।
ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান,সেই অর্থে বইমেলা নয়,প্রধান হল সাহিত্য উৎসব। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সাহিত্যিকরা থাকবেন, একইসঙ্গে দুই দেশের প্রায় ২৫ টি করে স্টলও থাকবে। সবটাই হবে গিল্ড ও ওপার বাংলার পুস্তক প্রকাশক সমিতির উদ্যোগে। এখানে সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের কোনো ভূমিকা থাকবে না। এক্ষেত্রে বইমেলার আমন্ত্রণ কোথায় হল? বলা হচ্ছে গিল্ড নাকি কোন উৎসাহ দেখায়নি। গিল্ড কি উদ্যোগ দেখাবে? বাংলাদেশ সরকার তো আমন্ত্রণ পত্র পাঠাবে। কথা ছিল, সাহিত্য উৎসব প্রথমে হবে ঢাকায়। এখনো পর্যন্ত তাহলে ওরা দিন স্থির করে তার আমন্ত্রণপত্র পাঠাল না কেন? শুধু মুখেই বলে চলেছেন। ওরা যদি বইমেলা করে ওদের সঙ্গে ও দেশের সরকার না থাকলে, আমরা এখান থেকে বই পাঠাবো বা ফেরত আনব কি করে? পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ডের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। গিল্ডকে বাংলাদেশে সিঙ্গেল কান্ট্রি কলকাতা বইমেলা করার আবেদন প্রসঙ্গে ত্রিদিববাবুর দাবি, বাংলাদেশে সিঙ্গেল কান্ট্রি বইমেলা করার কথা ওরা কি করে বলে? এখানে তো ওদের কোন ভূমিকাই নেই। বাংলাদেশ সরকার বলবে। আমাদের ভারতীয় হাই কমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার আমন্ত্রণ জানাবে তার ভিত্তিতে সিঙ্গেল কান্ট্রি বইমেলা করা যাবে ওদেশে। আর আমাদের দেশের ক্ষেত্রে শুধু তো পশ্চিমবঙ্গ নয় বিহার ,উত্তর প্রদেশে সহ আরও অন্যান্য রাজ্য রয়েছে। তাদের সকলকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে।