Last Updated on September 23, 2023 7:04 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। বৃহস্পতিবার দুপুর। মালদার ভালুকা স্টেশনের দিকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে আপ শিয়ালদহ শিলচর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। উল্টো দিক থেকে লাল গেঞ্জি উপরে তুলে ধরে ছুটছে এক শিশু। দু’জনের মধ্যে যখন কয়েক শো মিটারের ফারাক তখন সজোরে ব্রেক কষে থামল ট্রেন। ড্রাইভার গার্ড ট্রেন থেকে নেমে রেল লাইনের হাল দেখে থ। প্রবল বৃষ্টিতে লাইনের তলা থেকে ধসে গিয়েছে মাটি। প্রায় শূণ্যে ঝুলছে লাইনের একাংশ। অর্থাৎ এই লাইনে ট্রেন চললে দুর্ঘটনা অনিভার্য –
পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র মুরসালিমের উপস্থিত বুদ্ধিতে এভাবেই বাঁচল আপ শিয়ালদহ শিলচর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের শতাধিক যাত্রীর প্রাণ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ। দুরন্ত গতিতে আপ কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস ছুটে যাচ্ছিল। মালদা জেলার ভালুকা রোড স্টেশনের পেরোতেই বিপত্তি অপেক্ষা করছিল ট্রেনটির জন্য।
সেই সময় ট্রেন লাইনের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আট বছরের ওই কিশোর। সে হঠাৎ লক্ষ্য করে আপ লাইনে বেশ কিছু অংশের মাটি সরে গেছে। দুর্ঘটনা আশঙ্কা আঁচ করে তড়িঘড়ি নিজের পরনের লাল গেঞ্জি খুলে ট্রেনের ট্রাকে দাঁড়িয়ে সংকেত দিতে থাকে চালককে। লাল সংকেত দেখে চালক এমারজেন্সি ব্রেক কষে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে দেন। আর বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। জীবন রক্ষা পায় ট্রেনের কয়েকশ যাত্রীর। এরপর খবর পেয়ে রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি ছুটে যান এবং আপ লাইনটি মেরামতি করেন। তারপর আবার ট্রেনটি সুষ্ঠুভাবে গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়। মুরসালিম ট্রেন লাইনের পাশে মাটি সরে যাওয়ার বিষয়টি না দেখতে পেলে যে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত, তা স্বীকার করে নিয়েছেন রেল কর্তারাও। মুরসালিমের এই কাজে অভিভূত তার পরিবার থেকে প্রতিবেশীরাও।