Last Updated on October 31, 2021 10:20 PM by Khabar365Din
রিপোর্ট ও ছবি – অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়
৩৬৫দিন। ত্রিপুরায় খুঁটি পুজো হয়ে গেল ২৩ এর নির্বাচনে হবে বিসর্জন। রবিবার ত্রিপুরার
জনসভা থেকে ভাজপার বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দিলেন অভিষেক । বিপ্লব দেব সরকারের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। চাঁচাছোলা ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন গায়ের জোরে ত্রিপুরা দখলে রাখা যাবে না। মানুষের মনে মমতা। একইসঙ্গে পরিষ্কার করে দিলেন ত্রিপুরা এখন তৃণমূলের প্রাইম টার্গেট তিনি নিজে যেমন আসবেন তেমনই ডিসেম্বরে আসছেন মমতা। সুতরাং আন্দোলনের ঝাঁঝ আরো বাড়বে। দল ভাঙ্গানোর প্রয়োজন নেই। ভাজপার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে মানুষ এমনই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। আর বাম এবং কংগ্রেসের যারা ভাজপা বিরোধী তারা বুঝে গিয়েছেন লড়াইয়ের একমাত্র মুখ মমতা, তাই তারাও মমতা কি সমর্থন করছেন। অভিষেকের চ্যালেঞ্জ ত্রিপুরাতেও ভাজপাকে গুনে গুনে ১০গোল দেবেন। বিপ্লব দেব ভয় পেয়েছেন তাই আটকানোর চেষ্টা করছেন সন্ত্রাস করছেন যদিও তাতে লাভ হবে না।
আজ খুঁটিপুজো হল,২৩ বিসর্জন
আজ আমি খুঁটি পুজো করে দিয়ে গেলাম। ২০২৩ সালে
বিসর্জন হবে। আপনার ১০ গুণ জেদ আমার। আপনার জেদ, গায়ের জোরে ত্রিপুরায় গুণ্ডারাজ কায়েম করে রাখবেন , আর আমার জেদ ত্রিপুরার মানুষের সমর্থন নিয়ে ত্রিপুরায় মানুষের দুয়ারে সরকার চালাব।
ডিসেম্বর মাসে ত্রিপুরায় মমতা
আপনি বলেছেন বিবেকানন্দ ময়দানে সভা করতে হবে। আমি বলছি বিপ্লব বাবু আপনার এই মনস্কামনা আমি পূর্ণ করব। ডিসেম্বর মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসবে।ওখানেই সভা করব। আগামি মাসে আরো দুই থেকে তিনবার আমি ত্রিপুরায় আসবো। পারলে আমাদের আটকে দেখান।
ষড়যন্ত্র করে সরকার ভাগিনা তৃণমূল
আমরা সরকার ভাঙবো না। আমরা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কে মান্যতা দিই। আপনার আসে পাশে যারা ঘোরে সেক্রেটারি থেকে আরম্ভ করে নেতারা তারা সবাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। আমি চাইলেই একটা বোতাম টিপবো কালকে ১৫ জন বিধায়ক সবাই আমাদের দলে চলে আসবে। কিন্তু আমরা মানুষের রায় কি সম্মান দিই। ভোটে হারিয়ে আপনার সরকারকে আমরা পুকুরে ফেলবো।
ত্রিপুরা চালাবে দিল্লিকে আগামী দিনে দিল্লি ত্রিপুরাকে চালাবে না। ত্রিপুরা দিল্লিকে চালাবে। ত্রিপুরায় বসে দিল্লির তল্পিবাহকতা চলবে না। বাংলা থেকে তাড়িয়েছি, ত্রিপুরাথেকেও একইভাবে তাড়াব এবার।
সভাস্থলের বাইরে লোক আটকে রেখেছে
২০১৮ সালে পরিবর্তন করে বিজেপিকে আনার খাল কেটে কুমির আনা এক।
২০১৬ আমি এখানে সভা করে গেছি।কিন্তু তখন প্রশাসনের তরফে এত বাধা ছিল না। হাইকোর্টের নির্দেশ কে মান্যতা দিয়ে ৫০০ লোক হয়তো আমাদের সবাই এখানে এসেছে। কিন্তু প্রচুর লোক বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। কিছুটা দূরে পুলিশ আটকে দিয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ শুনছে। তখনকার সভায় সামনে ৫ হাজার লোক ছিল। কিন্তু আজকে সভা মঞ্চের সামনে ৫০০ লোক কিন্তু ত্রিপুরার কুড়ি লক্ষ মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি।আপনি গায়ের জোরে ভোট করাবেন। মানুষের গণতন্ত্রকে লুণ্ঠন করে জঙ্গল রাজ চালাবেন। এতদিন করে রাখতে পেরেছিলেন কারণ আপনার সামনে সিপিএম আর কংগ্রেস ছিল। এবার লড়াইয়ে তৃণমূল। ক্ষমতা থাকলে করে দেখান। কত ধানে কত চাল প্রমাণ করব। ২০১৯ সালের আমি এখানে ঘরবাড়ি নিয়ে বসে থাকো পারলে আটকে দেখান আমাকে। শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে ত্রিপুরার জন্য লড়াই করব। কালকেই সভা আটকানোর চেষ্টা করেছিল। আজ সকালে কুণাল ঘোষ কি ডেকে পাঠিয়ে ছিল কিন্তু এফআইআর দেখাতে পারছে না। ভেবেছিল দুটো নোটিশ পাঠালে তৃণমূল ভয় পেয়ে যাবে এটা জাতীয় কংগ্রেস বা সিপিএম না। ২৪ তারিখ অনুমতি চাইছি ৩০ তারিখ সকালে অনুমতি দিয়ে বলছে সভাস্থল বদল করতে হবে।আমি বলেছি সভাস্থল বদল করব না।
বিজেপি ভাইরাসের দুটো ডোজ লাগবে
করোনার থেকেও বিপজ্জনক করোনার থেকে বিপজ্জনক ভাইরাস হচ্ছে বিজেপি ভাইরাস। এর একটাই ভ্যাকসিন হয় সেটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডবল ডোজ দিতে হবে। একটা নভেম্বর মাসে পুরভোটে। আরেকটা ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। তাহলেই ভাইরাস শেষ।
বিপ্লব দেব এখন উন্মাদ
আগে ছিল সিপিএমের হার্মাদ। এরাই সবাই বিজেপিতে গেছে। এখন একটা বসে আছে বিজেপির উন্মাদ। বিপ্লব দেবের ছুটি হয়ে গিয়েছে। ওঁর একটা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা নেই, একটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হওয়ার যোগ্যতা নেই। আমি পুলিশ প্রশাসনকে দোষ দিই না। এদের উপরও প্রশাসনের চাপ রয়েছে। ওদেরও চাকরি বাঁচাতে হয়। আমি শুধু ওঁদের বলব যে কাজই করুন, মনে রাখবেন আপার কাঁধে অশোকস্তম্ভের চিহ্ন আছে, পদ্মফুলের নয়। এটা ভুলবেন না।
১০ – ০ গোলে হারাবো
আমি তথ্যের উপর নির্ভর করে কথা বলি। চলুন বিতর্ক হোক। সভা আপনি ঠিক করুন। সময় আপনি ঠিক করুন। আপনি আপনার সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে আসবেন। আপনি আপনার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে যাবেন, আমি আমার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে যাব। ১০-০ গোলে হারাতে না পারলে রাজনীতির আঙ্গিনা ছেড়ে দেবো
গুন্ডারাজ চলছে
আমাকে আটকাতে ত্রিপুরার সাধারণ মানুষকে কেন ভয় দেখাচ্ছেন? কোভিডবিধিই পালটে দিলেন, ১৪৪ ধারা জারি করলেন, কীসের এত ভয় বিপ্লববাবু?এখানে গণতন্ত্র ধর্ষিত, জঙ্গলরাজ চলছে। দুয়ারে গুণ্ডা পাঠানো হচ্ছে। কাউকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। আর দিল্লির ‘হ্যাঁ’তে ‘হ্যাঁ’ মিলিয়ে ‘জি হুজুর’ বলার রেওয়াজ শুরু হয়েছে। এই কালচার পালটাতে হবে। তাই আমি বলছি, দুয়ারে গুণ্ডা অবস্থায় পালটে ত্রিপুরায় বাংলার মতো দুয়ারে সরকার প্রতিষ্ঠা করব।
গুন্ডা বাইক বাহিনী দুয়ারে সরকারের কাজ করবে
১৪ মাস পর যখন ত্রিপুরায় তৃণমূল সরকার তৈরি হবে, বাংলার সমস্ত জনকল্যাণমূলক প্রকল্প ত্রিপুরাতেও চালু করা হবে।ত্রিপুরা জুড়ে বিপ্লব দেবের দুয়ারে গুন্ডা প্রকল্প চলছে। বাইক বাহিনীর তাণ্ডবে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। আজ যে বাইক বাহিনী তাণ্ডব চালাচ্ছে, আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, তৃণমূল সরকার গঠিত হওয়ার পর, তারাই দুয়ারে সরকারএর কাজ নিয়ে আপনার কাছে যাবে। তারাই দুয়ারে সরকারের ফরম ফিলাপ করবে।