Last Updated on June 17, 2022 5:01 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। খাঁচার মধ্যে মন টিকছে না।বার বারই ফাঁক খুঁজে বেড়িয়ে যাচ্ছে বুড়ি।কথা হচ্ছে আলিপুর চিড়িয়াখানার শিম্পাঞ্জি বুড়ি।তবে তাঁর মন টেকাতে এবার দোলনা-খেলনার ব্যবস্থা করছে কতৃপক্ষ।বেশ কিছুদিন হয়ে গেল বুড়ির।ছোট্ট খাঁচাটিই তাঁর আস্তানা।তবে সেখানে আর থাকতে চাইছে না।কোনও রকম সুযোগ পেলেই বাইরে পড়ছে।তবে তাঁর দুষ্টুমি রুখতে উদ্যোগ নিচ্ছে চিড়িয়াখানা কতৃপক্ষ।শুধু তাই নয় বাড়ানো হচ্ছে তারের বিদ্যুতের ভোল্ট।উঁচু করা হচ্ছে পাঁচিল।পাঁচিলের ওইপারেও থাকবে জাল।
কতৃপক্ষ তরফে জানা গিয়েছে,চিড়িয়াখানায় সমস্ত বন্যপ্রাণই সুরক্ষিত এবং যথেষ্ট ঘেরাটোপে আছে।কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে বুড়ি বা অন্য শিম্পাঞ্জিরা আর বেরোতে না পারে সেজন্যই সিদ্ধান্ত হয় তাদের খাঁচার নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর।চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, বুড়ি মাঝে মাঝেই বেরিয়ে পড়ে।তাই তাদের খাঁচার সামনে সৌর বিদ্যুতের বেড়া দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত,গত সোমবার সকালে খাঁচার বাইরে বেরিয়ে পড়ে বুড়ি নামের ওই শিম্পাঞ্জি।ছোট থেকেই কিপারদের হাত ধরেই মাঝেমধ্যে খাঁচার বাইরে ঘুরতে বের হয় বুড়ি। এদিন সকাল ১০টা-সাড়ে দশটা নাগাদ কিপার শিম্পাঞ্জিদের খাঁচায় ঢোকেন। কিপার খাঁচা থেকে বেরনোর সময়ে বুড়িও তার সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে।পাঁচিল টপকানোর সময় প্রথমে সৌর বিদ্যুতের বেড়ায় গিয়ে পড়ে।
বেড়ায় খুব হালকা বিদ্যুৎ থাকে।তাই শক লাগলেও ক্ষতি হয়নি।বিদ্যুতের বেড়ায় লেগে ছিটকে পাঁচিল টপকে চলে আসে বুড়ি।সেই সময়ে দর্শক ছিল বলে আতঙ্ক ছড়ায়।তবে সঙ্গে সঙ্গে তাকে খাঁচায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দেন চিড়িয়াখানার কর্মীরা।এদিকে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় চিড়িয়াখানায়। প্রায় এক ঘন্টা চিড়িয়াখানার প্রবেশপথ, টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়।অনেকদিন হয়ে গেল বুড়ির। ছোট্ট খাঁচাটিই তাঁর আস্তানা।
সেখানে আবার ‘ছোটু’ ও ‘মস্তান’ নামে আরও দুই শিপাঞ্জির বাস।তাদের সঙ্গে নিত্যদিন চলে বুড়ির খুনসুটি।এমনিতে বেশ মিষ্টি স্বভাবের শিপাঞ্জি বুড়ি। আবার দুষ্টুমিতেও বেশ ওস্তাদ। তার এই দুষ্টু-মিষ্টি স্বভাবের সঙ্গে পরিচিত চিড়িয়াখানার কর্মীরা।সেই মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থাও করা রয়েছে।তবে ফাঁক পেলে খাঁচা থেকে বেরিয়ে পড়ে সে।
কিন্তু এই ঘটনা বার বার ঘটতে থাকলে বেশ সমস্যার।তাই খেলনা-দোলনা দিয়ে তাঁর মন ভোলাবে কতৃপক্ষ।