Last Updated on October 8, 2020 4:41 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন: কারো হাতে মুঙ্গেরের কারখানায় বানানো পিস্তল, আবার কারো হাতে খাঁটি দেশীয় পদ্ধতিতে বানানো পেট্রোল বোমা। পূর্বঘোষণা মত নবান্ন সেনিটাইজেশন এর জন্য বন্ধ থাকবে জানানো হলেও শুধুমাত্র কলকাতার রাজপথে নেমে পুলিশ পেটানোর স্লোগান তুলে কলকাতা এবং হাওড়াকে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত করল বিজেপি। তবে রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের তরফে আগেই এই মিছিলের জন্য অনুমতি না দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল 100 জনের বেশি রাজনৈতিক কর্মী রাস্তায় নামলে কঠোর আইনী পদক্ষেপ নিয়ে তাদের রুখে দেওয়া হবে। সেই মতই এদিন সকাল থেকে উত্তর কলকাতা, হাওড়া এবং বালি ব্রিজ পেরিয়ে শয়ে শয়ে লরিতে এবং ম্যাটাডোরের মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বেঁধে ব্যারাকপুর থেকে হাজার হাজার বিজেপি কর্মীরা ঢুকতে শুরু করার পরেই জলকামান এবং স্টিলের ব্যারিকেড দিয়ে তাদের রাস্তা আটকে দেয় পুলিশ। বিভিন্ন দিকে মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন মুকুল রায়, তেজস্বী সূর্য, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেনন, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো দের মত রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা।
রাজ্য সরকারের তরফে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি হাজার হাজার সমর্থক নিয়ে মিছিল বা আইন অমান্য আন্দোলন করার। একদিকে যেমন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার গোটা দেশে নির্দেশিকা জারি করেছে 100 জনের বেশি নেতার সমর্থকসহ কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে না, তেমনি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তরফেও প্রতিটি রাজ্য সরকারকে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে করোনা সংক্রমনের মধ্যে বড় ধরনের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিকে যেন অনুমতি না দেওয়া হয়। তার পরেও আজ অন্তত ছয়জন লোকসভা ও রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদকে সামনে রেখে কলকাতার রাজপথে যাবতীয় করোনা সুরক্ষা বিধিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে মিছিলে নামলো বিজেপি।