Last Updated on July 26, 2022 6:37 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। সারাদেশে লোকসভা সাংসদের সংখ্যা মাত্র ১। আগামী লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম কোনক্রমে একটি লোকসভা আসন ধরে রাখতে পারবে। পলিটিক্যাল অ্যানালাসিস্ট সঞ্জয় কুমার ও তার গোষ্ঠীর পূর্বাভাস এরকমই।
মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বেসরকারি সোশ্যাল ও ইকোনমিক গ্রুপের তরফে সঞ্জয় কুমার পূর্বাভাসে জানিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম সারাদেশে একটি মাত্র আসন পাবে। উল্লেখ্য কেরলে আলাপুজহা লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন সিপিএম সাংসদ এএম আরিফ। এছাড়া গোটা দেশে সিপিএমের আর কোন সাংসদ অবশিষ্ট নেই।
বাংলায় সিপিএমের লোকসভা আসনের সংখ্যা শূন্য, ত্রিপুরায় সিপিএমের লোকসভা আসনের সংখ্যা শূন্যতে পরিণত হয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে পূর্বাভাসে সঞ্জয় কুমার মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, বাংলা থেকে সিপিএম শূন্য আসন পাবে এবং ত্রিপুরা থেকেও শূন্য আসন পাবে সিপিএম। বর্তমানে বাংলা থেকে বিধানসভা নির্বাচনের পরেও সিপিএমের আসন সংখ্যা শূন্যতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই অবস্থায় শুধুমাত্র কেরলে একটি লোকসভা আসন নিয়ে গোটা দেশের মধ্যে টিমটিম করে জ্বলছে সিপিএম। তবে কেরলের আলাপুজহা লোকসভা আসনে সিপিএম জয়ী হবে কিনা তাও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বিশিষ্ট পলিটিক্যাল অ্যানালাইসিস্ট সঞ্জয় কুমার। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর পূর্বাভাস, গোটা দেশে অন্তত একটি আসনে জয়ী হবে সিপিএম।
প্রসঙ্গত এদিন টুইটে সঞ্জয় কুমার বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন, দেশে কী অবস্থায় পৌঁছচ্ছে সিপিএম? গত ২০০৪ লোকসভা নির্বাচনে সারাদেশে ৬১টি আসনে জয়ী হয়েছিল সিপিএম। তাদের ভোটের হার ছিল ৮ শতাংশ। ২০১৪ সালে সিপিএমের ভোটের হার কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৪.৫ শতাংশ। ৬১ থেকে কমে সিপিএমের জয়ী লোকসভা আসন গিয়ে দাঁড়ায় ১২তে। গত লোকসভা নির্বাচন অর্থাৎ ২০১৯ এ সিপিএমের ভোটের হার আরো কমে গিয়ে দাঁড়ায় ২.৫ শতাংশতে। উল্লেখ্য, কেরল থেকে রাজ্যসভায় সিপিএমের ৪ জন সদস্য রয়েছেন, সিপিআইয়ের ২জন সদস্য রয়েছেন, এলডিএফ এর ৭টি এবং কেসি (এম)এর ১ জন সদস্য রয়েছেন। কিন্তু রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য বাদ দিলে, মানুষের ভোটে জয়ী হয়ে আসা লোকসভায় কেরল থেকে মাত্র একটি আসনে সিপিএম জয় পেয়েছে। এলডিএফ ২ আসনে জয় পেয়েছে এবং কেসি (এম) ১টি আসনে জয় পেয়েছে কেরল থেকে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আগামী লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এ সিপিএম কোনক্রমে একটি আসনে জয়লাভ করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সঞ্জয় কুমার এবং তাঁর গোষ্ঠী।