Last Updated on October 26, 2020 12:07 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন: বেচারা পদ্মপাল। অযাচিতভাবে গুরুতরভাবে অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে বাংলার সিপিএম নেতা কর্মীদের কাছে বার্তা পৌঁছে চেয়েছিলেন তিনি তাদের আপনজন। কিন্তু তার পরিবর্তে বাংলার আপামর সিপিএম নেতাকর্মীদের তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার এর মুখে পড়তে হলো তাঁকে। অসুস্থ বুদ্ধবাবুর বাড়িতে গিয়ে তিনি তার সঙ্গে আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রাজ্যের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে নিজের ঢাক পেটানো পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু যেভাবে শয্যাশায়ী বুদ্ধবাবুর ছবি তার পরিবারের অথবা দলের কাছ থেকে কোনরকম অনুমতি না নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন নিজের ঢাক পেটানোর জন্য, রাজ্যপাল পদে বসে এমন অশালীন এবং মর্যাদাহানিকর কাজের জন্য সিপিএমের পক্ষ থেকে তাকে তীব্র ধিক্কার জানানো হয়েছে। আলিমুদ্দিন থেকে আজ বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, রাজ্যের একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শয্যাশায়ী থাকার ছবি যেভাবে অশালীন ভাবে রাজ্যপাল পদে বসে থেকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেছেন তা ভীষণ মর্যাদাহানিকর। দলের তরফে এই আচরণের নিন্দা করা হচ্ছে। অথচবুদ্ধবাবু অসুস্থ হওয়ার পরে তাকে দেখতে গিয়ে নিজে কোন ছবি তোলা তো দূরের কথা সাক্ষাতের কোনো ছবি তোলার জন্য কোন ফটোগ্রাফার সঙ্গে নিয়ে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র আজ টুইটারে বিবৃতি জারি করে বলেন, রাজ্যপাল আইন-কানুনের ধার ধারেন কিনা সে বিতর্কে না গিয়েও একথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে তিনি তার পদের মর্যাদাহানিকর কাজ করেছেন। প্রসঙ্গত এবারেই প্রথম নয়, এর আগেও অসুস্থ বুদ্ধ বাবুকে দেখতে যাওয়ার অজুহাতে তার রোগ জীর্ণ চেহারার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজেকে বাংলা সিপিএম নেতা কর্মীদের কাছের লোক হিসেবে প্রমাণের নিষ্ফল চেষ্টা চালিয়েছেন পদ্মপাল। কিন্তু রাজভবনের সংবিধানিক পদে বসে তার এই নিম্ন রুচির পরিচয়কে মেনে নিতে রাজি নয় বাংলার মানুষ।